ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

হাবিবুল বাশার

পজিটিভ ক্রিকেটই জিতিয়েছে বাংলাদেশকে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৫

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ বিজয় নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ কেউ জয়টাকেই খুব বড় করে দেখছেন। এর ধরন, অ্যাপ্রোচ ও পারফরম্যান্স নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। আবার কারো কারো মত, ওপেনার ও টপ অর্ডার ভালো খেলেছে বলেই পিছিয়ে থেকেও সিরিজ জেতা সম্ভব হয়েছে।

দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন দাস ৫০ বলে ৭৬ আর শেষ ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিম ৪৭ বলে ৭৩ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে দল জেতানোকে মূল ভিত্তি মানছেন।

কিন্তু জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করেন, বাংলাদেশ পিছিয়ে পরা অবস্থা থেকে সিরিজ জিতেছে মূলত পজিটিভ অ্যাপ্রোচে খেলে।

প্রশ্ন ছিল- টপ অর্ডার ভালো খেলাতেই কি বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো? তার উত্তর দিতে গিয়ে সুমন বোঝানোর চেষ্টা করেন, টপ অর্ডার ভালো খেললে বাংলাদেশ ভালো খেলে, সেটা পুরোনো সত্য। তবে সাফল্যের পেছনে প্রধান কারণ হলো পজিটিভ অ্যাপ্রোচে খেলা।

বাশারের কথা, ‘আমাদের ইতিহাস বলে যখন টপঅর্ডার ভালো করেছে, আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের মিডলঅর্ডার বেশিরভাগ সময় স্ট্রং ছিল। তবে আমাদের টপঅর্ডার যখন ভালো করেছে, ঠিক তখন আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হয়েছে। খেলাটা ডিফারেন্ট হয়ে যায়। এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

পজিটিভ ক্রিকেট খেলে রান না পেলেও সেটা দলের উপকারেই আসে, মনে করেন বাশার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দুই ওপেনার তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমন ভেরি মাচ পজিটিভ । যদিও ইমন রান করেনি। তারপরও আমরা ভালো খেলেছি। কীভাবে খেলেছি, সেটাও বিবেচনায় আনার ব্যাপার। আমাদের টপঅর্ডার রান করেছে। পজিটিভ থেকে প্রপার ব্যাটিংটাই করেছে।’

বাশার যোগ করেন, ‘টপঅর্ডার ভালো না করলে মিডল অর্ডারের ওপর অনেক চাপ পরে। প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললে আপনি ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়বেন। তখন ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। তবে অ্যাপ্রোচ যদি ঠিক থাকে, তাহলে একাধিক উইকেট খোয়া গেলেও অসুবিধা হয় না। যেমন হয়নি দ্বিতীয় ম্যাচে। আমাদের শুরুতে উইকেট পরে গেছে। কিন্তু আমরা পজিটিভ খেলেছি। উইকেট পড়ে গেছে বলে যদি আমরা স্লো খেলতাম, তাহলে হতো না। আমরা তা না করে অল্প রানে ২ উইকেট হারানোর পরও পজিটিভ খেলেছি। ঘাবড়ে যাইনি। সেটা খুব ভালো লেগেছে। এই মানসিকতা ধরে রাখাটা খুব দরকার।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম