ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চিটাগাং কিংসের কাছে বকেয়া পাওনা বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে যা বললো বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ১৫ আগস্ট ২০২৫

২০২৪-২৫ এর বিপিএল শেষ হয়ে আরও একটি বিপিএল দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে এখনও গত আসরের পাওনা নিয়ে চিটাগাং কিংসের সঙ্গে ফায়সালা চূড়ান্ত হয়নি। চিটাগাং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, ৪৬ কোটি টাকার পাওনার বিষয়ে বিসিবির কাছেও কোনো জবাব নেই।

বিসিবির বকেয়া পাওনা নিয়ে তিন দিন আগে নিজের অভিমত দেন চিটাগাং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী। তিনি জানান, ৪৬ কোটি টাকার পাওনার বিষয়ে বিসিবির কাছেও কোনো জবাব নেই।

এসব নিয়ে মিডিয়ায় নানা সংবাদ ছাপা হয়েছে। যা বিসিবির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ নিয়ে বিসিবিও বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে চিটাগাং কিংসের মালিকের নাম উল্লেখ করা না হলেও তাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

বিসিবি তাদের বিবৃতিতে বিপিএলের দলটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‍এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সঙ্গে লেন-দেনের বিস্তারিত তথ্য তুলেছে। তাতে বিসিবি নতুন নোটিশে জানিয়ে দিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে ৪৬ কোটি টাকা পায় তারা।

বিপিএলের প্রথম দুই আসরেও (২০১২, ২০১৩) এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে পাওনা পায় বলে জানিয়েছে বিসিবি। সেই পাওনার জন্য একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তাতে পাত্তা দেয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরমধ্যে ছিল ২০১৩ সালের ৭ মে সালিসি নোটিশ ও গত ২২ জুলাইয়ের আইনি নোটিশও।

টুর্নামেন্টের নিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করায় এক সময় বিপিএল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে বাদ দিয়েছিল বিসিবি। পরে অবশ্য পুনরায় ফিরে আসে। তবে অভিযোগ ও বিতর্কের জন্ম দেওয়া পুরনো অভ্যাস যেন ছাড়তে পারেনি তারা।

সর্বশেষ গত আসরে আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে যায় তারা। ক্রিকেটার-কোচদের বকেয়া বিতর্কের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মেন্টর শহীদ আফ্রিদির পাওনা পরিশোধ না করা এবং দলের বাঁ-হাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের পারিশ্রমিক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য।

পুরনো সব কিছু ভুলে পরে সমঝোতোর চেষ্টা করেছিল বিসিবি। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে একটি চুক্তি করে বিসিবি। এবার শর্তও পূরণ করতে না পারায় গত ২২ জুলাই নোটিশ অনুযায়ী সাড়ে তিন কোটি টাকার সমঝোতার সেই চুক্তি বাতিল করে বিসিবি।

নতুন করে বিসিবি জানিয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে বোর্ডের মূল পাওনা ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৫ মার্কিন ডলার। আর ২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট সুদ পাবে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ ডলার। সব মিলিয়ে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা।

আইএইচএস/