ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আজই নতুন নাম ঘোষণা

যে কারণে পরিচালক হয়েও বাদ পড়লেন ইসফাক হাসান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

আগে ও পরে অনেক তীর্যক কথা-বার্তাই হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঠিক নেই। সরকারি হস্তক্ষেপ হচ্ছে। নিয়ম মানা হচ্ছে না। স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। নির্বাচনে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ চলছে। ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়েও অনেক পানি ঘোলা হয়েছে এবং কারচুপির সম্ভাবনা যথেষ্ঠ।

এমন অভিযোগে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একটি বড় অংশ নির্বাচন থেকে আগেভাগে সরেও দাঁড়িয়েছিলেন। পরে তারা দুইদফা নির্বাচন পিছানোর আবেদন করেন। প্রধান উপদেষ্টার দারস্থও হন; কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি।

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার অঘোষিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। প্রতাশিতভাবেই বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিসিবির ২০তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্বও শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিন ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত ২৩ পরিচালককে নিয়ে তেমন কোন বিতর্ক নেই।

তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে যে দুই পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তার একজন এম ইশফাক আহসানকে নিয়ে শুরুতেই সমালোচনার ঝড়। মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ইশফাক হোসেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন।

তিনি চাঁদপুর আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং চাঁদপুর-২ আসনে ২০২৪ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে ইগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরীর (মায়া) কাছে হেরে যান ইসফাক। আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন ইশফাক আহসান। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্যও তিনি।

তাকে কেন কী কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক করা হলো, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও ইশফাক আহসানকে পাল্টে আরেকজন পরিচালক মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনএসসির নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম সোমবার রাতেই মিডিয়াকে জানান, ইশফাক আহসানের মনোনয়ন বাতিল করা হবে। তার পরিবর্তে নতুন আর একজন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরের আগেই সেই মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। যেহেতু আজ বিসিবির পরিচালক পর্ষদের সভা আছে তার আগেই হয়ত নতুন পরিচালকের নাম ঘোষণা হবে। তবে তিনি কে? অন্য কোন ব্যবসায়ী? শিল্পপতি? নাকি সাবেক ক্রিকেটার? তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাধারণতঃ এনএসসি কোটায় সাবেক ক্রিকেটার, প্রতিষ্ঠিত সংগঠকরা বোর্ডে আসেন। এবারই সে ধারা ভেঙ্গে দুইজন ব্যবসায়ীকে বোর্ড পরিচালক করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তার একজন হলেন স্বৈরাচারের দোসর। ব্যাপারটা ক্রীড়াঙ্গনে বেশ সাড়া ফেলেছে। সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর।

সবার একটাই প্রশ্ন, আগের ধারা ভেঙ্গে সাবেক ক্রিকেটার কিংবা কোন ক্রিকেট সংগঠককে দায়িত্ব দিলে কি হতো? আর যদি নতুন ধারার সংযোজন ঘটিয়ে ব্যবসায়ীদের বোর্ড পরিচালক করা হলো, তখন তাদের পুরো পরিচয় ও ক্যারিয়ার যাচাই করে নেয়া ছিল যুক্তিযুক্ত। তা করা হলে নিশ্চয়ই এমন বিতর্কর অবতারনা ঘটতো না।

এআরবি/আইএইচএস