রংপুরের সহকারী কোচ আশরাফুল
‘লক্ষ্য ছিল দেশি ৭জনই যেন জাতীয় দলে খেলা পারফরমার হয়’
দু’জন করে দেশি ও বিদেশি প্লেয়ার সরাসরি দলে টানার অপশন ছিল। সব দলই প্রায় (শুধু চট্টগ্রাম রয়্যালস দুজনের পরিবর্তে একজন বিদেশি দলে নিয়েছে) নিলামের আগেই সে কোটা পূরণ করে ফেলেছে। এরপর নিলামও শেষ। কাগজে কলমে দলগুলোর অবস্থা কেমন দাড়ালো? তা নিয়েই চলছে হিসেবে নিকেশ। অনেকেরই মত এখন পর্যন্ত কাগজে-কলমে এক নম্বর দল সাজিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
রংপুর রাইডার্সের প্রধান সহকারী প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আশরাফুলও তাই মনে করেন। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়কের মত, কাগজে-কলমে রংপুর রাইডার্সই সবচেয়ে ভাল দল। জাগোনিউজের সাথে দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আশরাফুলের ব্যাখ্যা, কাগজে কলমে দেখলে বলতে হবে রংপুরই এক নম্বর দল।
শুধু আমি না সবাই রংপুরকে এক নম্বর দল বলছে। খেলাটা ২০ ওভারের। এখানে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন। এটা আসলে ১৯-২০। এ খেলাটা ২ ওভারে গেম চেঞ্জ হয়ে যায়। দেখা গেল এক ওভারে ২০-২৪ রান আর অন্য ওভারে ১৮-২০ নিলেন। খেলার চালচিত্র যাবে পাল্টে। একটা ওভারে ৪ উইকেটের পতন ঘটলে চিত্র পাল্টে যায়। খেলাটা যেহেতু শর্টার ভার্সনের। তাই খুব বড় গলায় কিছু বলবো না। তারপরও আমার মনে হয় রংপুরই এক নম্বর দল।
নিলামে আপনাদের কতটা লক্ষ্য পূরণ ঘটেছে? এ প্রশ্নের জবাবে রংপুর চিফ অ্যাসিসট্যান্ট কোচ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। খুব হ্যাপি।’
দেখেন আমাদের দুইজন ডানহাতি ব্যাটার দরকার ছিল। সে কারণে আমরা নিলামে প্রথম দিকেই নিলামে প্রথম দিকেই দুই ডানহাতি লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের দিকে হাত বাড়াই। এরপর মোস্তাফিজ আর সোহানকেও অটো সাইন করে নেয়া হয়েছে। ফাস্ট চয়েজে আমরা দুজনকে পছন্দ করেছি, যার একজন (মোস্তাফিজ) সাদা বলে দেশের পেসারদের মধ্যে অনেক বড় নির্ভরতা। আরেকজন নুরুল হাসান সোহান।’
‘বিপিএলে আমাদের প্রুভেন পারফরমার। গুড ক্যাপ্টেন। এর সাথে আমরা বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে যাকে বেছে নিয়েছি সেই রকিবুল এ মুহূর্তে সাদা বল ক্রিকেটে রাকিবুল বেস্ট। তাই তাকে নিয়েছি আমরা। আর ফাস্টেস্ট বোলার নাহিদ রানা আগেও ছিল। তার প্রতি আমাদের উইকনেস ছিল। আমরা তাকে পেতে চেয়েছি। আমাদের প্ল্যান ছিল আমরাদের লোকাল যে সাতজন খেলবে, তারা যেন ন্যাশনাল টিমে খেলা পারফরমার হয়। তাদের এক্সপেরিয়েন্সটা যাতে খুব ভাল থাকে।’
‘সেখানে আমাদের বড় সম্পদ হয়ে দলে এসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার দীর্ঘ অভিজজ্ঞতা ও কার্যকরিতা আমাদের দলকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করেছে।
মাহমুদউল্লাহকে পাওয়া বড় দিক। অফস্পিনার হিসেবে নাইম হাসান আর স্পিনার কোটায় আলিস ইসলামকে পেয়েছি। ব্যাকআপ বোলার হিসেবে দলে আসলেও মৃত্যুঞ্জয় আছে। সে খেলবে। অনেক ম্যাচই খেলবে। সব মিলে আমরা মাশাআল্লাহ ওয়েল ব্যালেন্সড।’
‘এর সাথে যুক্ত হবেন আরও এক ঝাঁক ভিনদেশি পারফরমার। সেই তালিকায় ডেভিড মালান, কাইল মিলস, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, ইফতিখার ও নাফে। অন্য পাকিস্তানী চায়নাম্যান বোলার।’
তবে কি নিলামে আপনাদের শতভাগ লক্ষ্য পূরণ হয়েছে? ‘নাহ, একটা প্লেয়ারকে আমরা নিতে চেয়ে পারিনি। তার নাম তানজিম সাকিব। আমার মনে হয় তার পেস বোলিং ও নিচের আট-নয় নম্বরে ব্যাটিংটা বেশ কাজে দিত; কিন্তু নিলামে আমরা তানজিম সাকিবকে পাইনি। তবে আমরা সেই জায়গায় পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফকে দিয়ে ভরাট করবো। ফাহিম আশরাফ পেসার হিসেবেও কাজের। তার ব্যাটিংটা অনেক হ্যান্ডি হতে পারে।’
কাগজে-কলমে রংপুর ছাড়া আর কোন দলকে শক্তিশালী ও প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন? আশরাফুলের গোছানো জবাব, লং ওভারের খেলা হলে ডিফারেন্ট বল গেম হতো। খেলা যেহেতু শর্টার ফরম্যাটে, এখানে সবাইকে রেসপেক্ট করেই খেলার চেষ্টা থাকবে।
সব দলই ভাল। প্রতিপক্ষ হিসেবেও কেউ হেলাফেলার না। এবারের নিলাম শেষে দলগুলোর শক্তি কাছাকাছি। তারপরও রাজশাহী ভাল দল। সিলেটও কাছাকাছি। নোয়াখালীও খারাপ না।
এআরবি/আইএইচএস