ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

জাতীয় ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২৭তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। এটা তাদের তৃতীয় শিরোপা। এর আগে সর্বশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি।

মূলত সিলেট-বরিশাল ম্যাচেই নির্ভর করছিল এবারের শিরোপা যাবে কোন বিভাগে। রংপুরের শিরোপা জয় ঠেকাতে সিলেটকে বরিশালের বিপক্ষে জিততেই হতো। তবে এই ম্যাচ ড্র হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণেও শিরোপা গিয়েছে রংপুরে।

আজ (মঙ্গলবার) রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচ ড্র হতেই রংপুরের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। গতকাল সোমবার একদিন বাকি থাকতেই খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠে রংপুর।

সিলেট বরিশালকে হারাতে পারলে রংপুরকে ছাড়িয়ে টেবিল টপার হয়ে চ্যাম্পিয়ন বনে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বরিশাল-সিলেটের ম্যাচটি ড্রতে শেষ হয়েছে। ফলে ৩১ পয়েন্ট পাওয়া রংপুর চ্যাম্পিয়ন, দুইয়ে থেকে আসর শেষ করা সিলেটের পয়েন্ট ২৮।

জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথমবার ২০১৪-১৫ মৌসুমে শিরোপা জেতে রংপুর। তাদের দ্বিতীয় শিরোপা অর্ধযুগ পর ২০২২-২৩ মৌসুমে। এবার অবশ্য এক মৌসুম বাদেই তৃতীয় শিরোপা জিতলো দলটি।

সিলেটের মতোই দুটি করে জয় পেয়েছে ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ। তবে পয়েন্টের দিক থেকে ময়মনসিংহ ২৪, খুলনা ২২, বরিশাল ২০ ও চট্টগ্রাম ১৯ পয়েন্টের অধিকারী। নিজেদের প্রথম আসরেই ময়মনসিংহ দ্বিতীয় রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

ইফতিখার হোসেন ইফতির অপরাজিত ১২৮ রানের সৌজন্যে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৪ রান করলে সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২০ রানের। শেষদিনে তাড়া করতে পারেনি সিলেট।

৬৯ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা সিলেট আর জেতার চেষ্টা করেনি। ৫৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ।

মুশফিকুর রহিম ৫৩ এবং আসাদুল্লাহ আল গালিব করেন অপরাজিত ৬১ রান। এর আগে বরিশালের ইনিংসে ১৯৭ বলে ১২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম এবং মঈন খান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল প্রথম ইনিংস: ৩১২/১০ (সোহাগ গাজী ৬৮, মহিউদ্দিন তারেক ৩/৪১) এবং দ্বিতীয় ইনিংস ২৯৪/৮ ডিক্লে. (ইফতিখার রহমান ইফতি ১২৮*, তোফায়েল আহমেদ ৩/৫৫)
সিলেট প্রথম ইনিংস: ২৮৭/১০ (জাকির হাসান ১৩০, রুয়েল মিয়া ৫/৮৪) এবং দ্বিতীয় ইনিংস ১৮৭/৫ (আসাদুল্লাহ গালিব ৬১*, মুশফিকুর রহিম ৫৩, মঈন খান ২/২৫)।

ফল: ম্যাচ ড্র।

এসকেডি/এমএমআর