ব্যাটে সৌম্য, বলে তানভীরের বাজিমাত
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ। রানার্সআপ হয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সিলেট বিভাগ। সর্বশেষ ৪ বছর আগে টেস্ট খেলা সৌম্য এবারের লিগে সর্বোচ্চ ৬৩৩ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ৩৪ উইকেট নিয়েছেন এখনও টেস্ট অভিষেক না হওয়া বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সে শীর্ষে।
সর্বোচ্চ রান
সৌম্য সরকার (খুলনা বিভাগ)
এবারের আসরে খুলনা শেষ করেছে টেবিলের পাঁচে থেকে। তবে দল নিচের দিকে থাকলেও পুরো মৌসুম জুড়ে ব্যাট হাতে রান করেছেন দলটির ওপেনার সৌম্য সরকার। ৭ ম্যাচে ১৪ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে ৪৫.২১ গড়ে এসেছে ৬৩৩ রান। ৪টি ফিফটির সঙ্গে আছে একটা সেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ ১৮৬ রান করেছেন খুলনার এই ওপেনার।
জাকির হাসান (সিলেট)
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিলেট অধিনায়ক জাকির হাসান করেছেন ৫৭.০৯ গড়ে ৬২৮ রান। ৫ ফিফটির সঙ্গে জাকিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১টি সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ১৩০ রান। তার নেতৃত্বে সিলেট লিগে হয়েছে রানার্সআপ।
মার্শাল আইয়ুব (ঢাকা)
এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে ঢাকা বিভাগের। শেষ ম্যাচে প্রথম জয় পাওয়া দলটি ৫ ম্যাচে ড্র করেছে, লিগ শেষ করেছে টেবিলের ৪ নম্বরে থেকে। তবে তাদের ব্যাটার মার্শাল আইয়ুব ঠিক ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন। ১৩ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬২.৫০ গড়ে ৫২৫ রান। আছে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি।
প্রিতম কুমার (রাজশাহী)
রাজশাহী বিভাগের এই ব্যাটার ৪১ গড়ে করেছেন ৫৩৭ রান। সমান দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি আছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। সর্বোচ্চ করেছেন ১৪৩ রান।
মোহাম্মদ নাঈম শেখ (ময়মনসিংহ)
এবারই প্রথম জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিভাগ হিসেবে খেলেছে ময়মনসিংহ। ৪৯ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪৭ রান। ৫ ফিফটির সঙ্গে করেছেন এক সেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ ১১১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
সর্বোচ্চ উইকেট
তানভীর ইসলাম (বরিশাল)
জাতীয় দলের হয়ে সাদা বলে অভিষেক হলেও এখনও টেস্ট ক্রিকেটে ডাক পাননি তানভীর ইসলাম। তবে নির্বাচকদের যেন জানিয়ে রাখলেন লাল বলের জন্যও প্রস্তুত তিনি। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশাল অধিনায়ক নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৪ উইকেট। সমান ২ বার ৫ ও ৪ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ (রংপুর)
রংপুরের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৪ ম্যাচ খেলেই নিয়েছেন ২৯ উইকেট। ইনিংসে ৩ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
রুয়েল মিয়া (বরিশাল)
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্মার রুয়েল এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৬ ম্যাচে এই বাঁহাতি পেসারের শিকার ২৭ উইকেট। তিনিও ৩ বার নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট।
নাঈম হাসান (চট্টগ্রাম)
জাতীয় দলের স্পিনার নাঈম হাসান এবারের লিগে নিয়েছেন ২৭টি উইকেট। চট্টগ্রামের হয়ে খেলা এই অফ স্পিনার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২ বার, ৪ উইকেট নিয়েছেন ১ বার।
আবু জায়েদ রাহী (সিলেট)
নতুন বলে সুইং করানোর জন্য বেশ আলোচনায় ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশিদিন টিকতে পারেননি। তবে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করেছেন। সিলেটের এই পেসার নিয়েছেন ২৫ উইকেট। ২ বার চার ও ১ বার ইনিংসে ৫ উইকেট আছে রাহীর।
এমএমআর/জেআইএম