সব ক্রিকেটার নিয়ে লিগ আয়োজনের দাবি ক্রিকেটারদের
নির্বাচনে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে বিসিবির অধীনে সব লিগ বয়কট করেছে ঢাকার শীর্ষ ক্লাবরা। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে ২০ দলের মধ্যে অংশ নিচ্ছে ১টি ক্লাব। বাকি ৮ দলের ক্রিকেটাররা শনিবার সব দলকে নিয়ে লিগ আয়োজনের দাবিতে বিসিবিতে স্বারকলিপি দিয়েছেন।
স্বারকলিপি জমা দেওয়ার পর বিসিবি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা। একই সময়ে পাশেই প্রথম লিগের ট্রফি উন্মোচন হচ্ছিল। এই সংকট উত্তরণে বিসিবির পদক্ষেপ ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যত জানতে বিসিবি কার্যালয়ে আসেন প্রথম বিভাগে খেলা অন্ততপক্ষে ৬০ ক্রিকেটার। সেখানে তারা জমা দেন নিজেদের স্মারকলিপি। এর আগে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনও করেন তারা।
বয়কট করা ক্লাবের ক্রিকেটাররা নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। তারা দাবি তোলেন সব দল নিয়ে লিগ আয়োজন করতে না পারলে, বিকল্প ব্যবস্থায় আয়োজিত টুর্নামেন্টে যেন সব দলের ক্রিকেটাররাই থাকেন। এ নিয়ে গত মৌসুমে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির হয়ে খেলা আসাদুজ্জামান প্রিন্স বলেন, ‘২০ দল নিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরু করতে হবে আর নয়তো ২০ দল নিয়ে, ২০ দলের সকল ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট করতে হবে।’
প্রিন্স আরও বলেন, ‘১২ দলের ভাইরা ভালো পেমেন্ট নিয়ে ক্রিকেটটা খেলতে পারবে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ টাইটেলে, আর অন্য ভাইরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নাম দিয়ে ক্রিকেট খেলতে আসবে আর সেখানে পারিশ্রমিক হবে ৫০ হাজার-৬০ হাজার টাকা- এই ধরনের, আমার মনে হয় এটা একটা বৈষম্য।’
ক্রিকেটারদের দাবিতে এখনও কোন ধরনের সম্মতি দেয়নি বিসিবি। আসাদুজ্জামান প্রিন্স বলেন, ‘সভাপতি দেশের বাইরে। ওনারা আমাদেরকে এখনই কথা দিতে পারছেন না যে আমাদের জন্য কী করবে বা আর্থিকভাবে কী ধরনের সমর্থন দিতে পারেন। ওনারা নিজ দায়িত্বে বলতে চাচ্ছেন না।’
এতে খানিকটা হতাশা তৈরি হয়েছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্রিকেটার জানান, তাদের আশা ছিল অন্তত একটি সমাধান পাবেন। তবে সেই সমাধান না পাওয়ার হতাশা নিয়ে বিসিবি কার্যালয় ছাড়েন তারা। এমন কী ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়েও সন্দিহান।'
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে তৈরি হওয়া অচলাবস্তায় কোয়াবের ভূমিকা নিয়ে প্রথম দিকে প্রিন্স বলেন, ‘ওয়েস্টিন (চা চক্র অনুষ্ঠান) পর্যন্ত তারা চেষ্টা করছে খেলা মাঠে নেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত সেটা হয় নাই বা পারে নাই। তারা সেরা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। তারা এক সময় দেখতে পায় ওয়েস্টিনের গাইডলাইনের পর কোয়াব সভাপতি একটু আত্মসম্পর্ণ করতে বাধ্য হয় যেহেতু দুই পক্ষকে (বিসিব ও ক্লাব) একত্র করতে পারছেন না। সেই কারণে হয়তো এরকম মনে হচ্ছে যে আমরা কোয়াবের বাইরে থেকে এখানে এসেছি।’
এসকেডি/আইএন/