ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

চট্টগ্রামের কাছে ৬৫ রানে হারলো নোয়াখালী

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নতুন দল হিসেবে বিপিএলে নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্তি বাড়িয়েছিল উন্মাদনা। কিন্তু মাঠের খেলায়ও সুবিধা করতে পারেনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম রয়্যালসের কাছে হেরেছে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় অলআউট হতে হয়েছে মাত্র ১০৯ রানে। ফলে ৬৫ রানে জিতে দ্বাদশ আসর দারুণভাবে শুরু করেছে চট্টগ্রাম।

দিনের প্রথম ম্যাচে এই মাঠেই ১৯১ রান তাড়া করে সিলেটকে হারায় রাজশাহী। তাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল নোয়াখালীর সমর্থকরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৩ রানে। শরিফুলের বলে হাবিবুর রহমান সোহান আউট হন ৭ বলে ১৫ রান করে। ৫ রান করে দলীয় ২৮ রানে ফিরে যান তিনে নামা সাব্বির হোসেন। তাকে আউট করেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শেখ মাহেদি হাসান।

দ্রুত ২ উইকেট হারানো নোয়াখালীর হাল ধরতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক সৈকত আলীও। ৪ রান করে দলীয় ৩৯ রানে তানভীর ইসলামের বলে বোল্ড হলে ৩ উইকেট হারায় নতুন ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটি।

১২ বল খেলে ৬ রান করেন জাকের আলী অনিক। পারেননি কোনো বাউন্ডারি মারতে। দলের বোর্ডে ৫৪ রান থাকা অবস্থায় মাহেদি তাকে আউট করেন। ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকেই যায় নোয়াখালী।

ওপেনিংয়ে নামা মাজ সাদাকাত ৩২ রানের জুটি গড়েন হায়দার আলীর সঙ্গে। এই জুটিতে কিছুটা আশা দেখা শুরু করে নোয়াখালীর সমর্থকরা। কিন্তু আবু হায়দার রনি ৩৮ রান করা সাদাকাতকে ফেরালে এক্সপ্রেসের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৮৬।

দুটি করে ৪ ও ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করা হায়দার আলীকে আউট করেন তানভীর। পরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন হাসান মাহমুদকে। ১০০ রানে ৭ উইকেট হারানো নোয়াখালীর পরাজয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ হতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়ে পরাজিত হয় ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে।

চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। সমান দুটি করে শরিফুল, মুকিদুল ও মাহেদি। একটি উইকেট গেছে আবু হায়দারের ঝুলিতে।

এর আগে, টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নোয়াখালীকে ১৭৫ রানের বড় লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম রয়্যালস।

‎বোর্ডে বড় রান জমা হওয়ার মূল কারিগর ওপেনার মির্জা বাইগ। যদিও তিনি খেলেন খুবই ধীরগতিতে। পাকিস্তানের এই ব্যাটার হাসান মাহমুদের করা ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬৯ বলে ৮০ রানের ইনিংস।

‎কোটি টাকার বিনিময়ে দলে ভেড়ানো নাইম শেখ হতাশ করেছেন। ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ১১ রানেই ধরেন সাজঘরের পথ। মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দেন সাব্বির হোসেনকে। ২৯ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

‎মির্জা বাইগ একপ্রান্ত আগলে খেলেন। অন্যদিকে অল্প বলে বেশি রানের প্রচেষ্টায় ক্যামিও ইনিংস খেলেন মাহফিজুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাহফিজুল ১২ বলে ও ১৩ বলে ১৭ করেন জয়। ১২২ রানে চট্টগ্রাম হারায় ৩ উইকেট। মাজ সাদাকাত ও জহির খান আউট করেন এ দুজনকে।

‎তবে দুইশো স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের অধিনায়ক শেখ মাহেদি হাসান স্বপ্ন দেখান দলের স্কোর দুইশো পার করানোর। কিন্ত ১৩ বলে ২৬ রান করে তিনি ফেরার দুই বল পর ৪ রান করে আবু হায়দার রনিও উইকেট বিলিয়ে দিলে ১৬৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় রয়্যালস। দুজনই শিকার সাব্বির হোসেনের।

‎শেষ ওভারে নোয়াখালীর হাসান মাহমুদ মাত্র ৫ রান খরচ করেন নো-বল করার পরও। তুলে নেন মির্জা বাইগকেও। চেষ্টা করেও বাউন্ডারি আদায় করতে পারেননি মির্জা ও জিয়াউর রহমান। মির্জা আউট হলেও জিয়া অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে।

‎সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেছেন সাব্বির হোসেন। একটি করে শিকার হাসান, রানা, জহির ও মাজের।

আইএন/এমআরএম