বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে বৃষ্টি
বৃষ্টি কখনোই ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় সমস্যা নয়। কিন্তু চলমান আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের জন্মস্থানকে নিয়ে এসেছে আলোচনার শীর্ষে। শুধু আলোচনাই নয়, কঠোর সমালোচনাও। কেন এ সময়টাকে বিশ্বকাপের জন্য বেছে নেয়া হলো?
বিশ্বকাপের দুই সপ্তাহ পার হয়েছে মাত্র। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে যাওয়া ম্যাচের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে চারটি ম্যাচ গেছে বৃষ্টির পেটে। অতীতে ছিল সর্বোচ্চ দুটি ম্যাচ পরিত্যক্তের রেকর্ড। বাকি সময়ে কি হবে তা নিয়েই এখন শঙ্কিত ক্রিকেটামোদীরা।
ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বিচিত্রময়। এই রোদ, এই বৃষ্টি। এই তো গত সামারে ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুষ্ক ও গরম ছিল ইংল্যান্ডের আবহাওয়া। ওই সময়ে সফরকারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের রেকর্ড ৪৮১ রান করেছিল। এই বিশ্বকাপেও রানের বন্যা বইবে-এমন ভবিষ্যতবাণী ছিল ক্রিকেট বোদ্ধাদের। কিন্তু বাস্তবে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন।
ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান আসবে-এ সম্ভাবনা তো এখনো আছে। কিন্তু সব কিছু শেষ করে দিচ্ছে বৃষ্টি। দলগুলো ভাবছে একরকম, মাঠে নেমে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে আরেক রকম। সবই বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার জন্যই।
অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ে যাওয়া ম্যাচগুলোর বিজয়ীরা ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম তিনটি বিশ্বকাপের সূত্র কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে পেরেছে। এর বাইরে দলগুলোকে তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেই খেলতে হচ্ছে। এই যেমন, অস্ট্রেলিয়ার মারমুখী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে তার স্বভাবসুলভ স্টাইলে লাগাম টানতে বাধ্য করেছে এই বৃষ্টি।
কেবল একজন ক্রিকেটারই নন, পুরো দলই বাধ্য হচ্ছে তাদের কৌশল ও পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে। যেটা এই বিশ্বকাপে পুরোপুরি অপ্রত্যাশিতই ছিল। এর কারণ হলো ক্রীড়াক্ষেত্রে কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা নেই।
সারমর্ম হলো এই বিশ্বকাপে বড় একটা ভূমিকা রাখছে বৃষ্টি। দলগুলোর ভাগ্য এখন এই অনাসৃষ্টি নামের এই বৃষ্টির ওপর। বৃষ্টির বলি হয়ে বিশ্বকাপে কখন কোন দলের অবস্থান নড়বড়ে হয়, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার। বিশ্বকাপের ইতিহাস বলছে, কখনই সব কিছু ক্রিকেটামোদীদের ধারণার মতো করে হয়নি। তবে সবার প্রত্যাশা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
আরআই/এমএমআর/এমএস