ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

প্রেসিডেন্টস কাপের ‘দুই লাখ টাকা’ জিতবেন কে?

আরিফুর রহমান বাবু | প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২০

কে হাসবেন শেষ হাসি? মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নাকি নাজমুল হোসেন শান্ত? শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল শেষে শেরেবাংলায় ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার আনন্দ-উল্লাসে মাতবে কোন দল? শান্ত বাহিনী নাকি রিয়াদের দল? তা জানতে কৌতূহলের কমতি নেই ক্রিকেট অনুরাগীদের।

পাশাপাশি আরও একটি কৌতূহলী প্রশ্ন সবার মনেই উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের আসর সেরা পারফরমার হবেন কে? কার হাতে উঠবে প্রেসিডেন্টস কাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট ট্রফি? কে পাবেন নগদ দুই লাখ টাকার পুরস্কার?

আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্টস কাপে থাকছে নানা নগদ অর্থ পুরস্কার। চাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ছাড়াও আসর সেরা ক্রিকেটার, প্রতি খেলার ম্যান অব দ্য ম্যাচ, ফাইনাল সেরা এবং প্রতিযোগিতার সেরা ব্যাটসম্যান, বোলার ও ফিল্ডারকেও দেয়া হবে নগদ অর্থ পুরস্কার।

এখন দেখা যাক ওই আসর সেরা পারফরমার হওয়ার দৌড়ে আছেন কারা? এ মুহূর্তে লড়াইয়ে আছেন চারজন- মুশফিকুর রহীম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ডান হাতি পেস বোলার রুবেল হোসেন। এছাড়া বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজও আছেন তাদের বেশ কাছেই।

টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমার হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন মুশফিক। এরই মধ্যে যার নামের পাশে জমা পড়েছে ২০০+ রান। তিনি ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কেউ ২০০ রান করতে পারেননি। নাজমুল একাদশের প্রধান ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক একটি ম্যাচ ছাড়া সব খেলায় রান পেয়েছেন।

প্রথম খেলায় কথা বলেনি মুশফিকের ব্যাট। আউট হয়েছেন মাত্র ১ রানে। কিন্তু পরের তিন খেলায়ই মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাট জ্বলে উঠেছে। ফিফটি পেরিয়েছেন টানা তিন ম্যাচের। এখন পর্যন্ত আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানও মুশফিক। সেটা তামিম বাহিনীর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে। শেষ তিন ম্যাচে মুশফিকের স্কোর যথাক্রমে ১০৩, ৫১ ও ৫২। চার খেলায় তার মোট সংগ্রহ ২০৭ রান।

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকের খুব না হলেও মোটামুটি কাছেই আছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। এ বাঁহাতি মিডলঅর্ডারের মোট রান চার ম্যাচে ১৫৭, তার ইনিংসগুলো যতাক্রমে ৪, ১৫, ৯৮, ৪০। মুশফিকের মতো চার ম্যাচের তিনটিতে পঞ্চাশের ওপরে রান করতে না পারলেও নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বাঁহাতি মিডল অর্ডার আফিফও এক ম্যাচে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।

কিন্তু মাত্র দুই রান দূরে থেকে দুর্ভাগ্যক্রমে রানআউট হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো, আফিফ শতরান করতে পারেননি মুশফিকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে। তারা দুজন একসঙ্গে ব্যাট করছিলেন। নিজেরা রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হন। তাতেই সম্ভাব্য শতক হাতছাড়া হয় আফিফের।

এদিকে এখন পর্যন্ত আসরের সর্বাধিক উইকেট শিকারি সাইফউদ্দিন। তামিম ইকবাল বাহিনীর এ পেসার এ আসরে বোলিং শুরু করেছেন প্রায় ম্যাচেই। সাফল্যও পেয়েছেন নিয়মিত। প্রেসিডেন্টস কাপের একমাত্র বোলার সাইফউদ্দিন, যিনি এক ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারি। তার সেরা বোলিং ২৬ রানে ৫ উইকেট।

৪ ম্যাচে সাইফউদ্দিনের ঝুলিতে জমা পড়েছে সর্বাধিক ১২ উইকেট। কিন্তু দল ফাইনালের আগে রাউন্ড রবিন লিগ থেকে ছিটকে পড়ায় আর ফাইনালে থাকছেন না সাইফউদ্দিনকে। তাকে টপকে সর্বাধিক উইকেট শিকারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে পেসার রুবেল হোসেনের।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনীর এ পেসার এখন পর্যন্ত চার খেলায় দখল করেছেন ১০ উইকেট। তার সেরা বোলিং ফিগার ৪/৩৪। সাইফের মতো এক ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইনিংসের অর্ধেকটার পতন ঘটাতে না পারলেও রুবেল ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করেছেন। ভাইটাল ব্রেক থ্রু’ও এনেছেন। সন্দেহ নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনীর মূল বোলিং অস্ত্রই রুবেল। ফাইনালেও তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে রিয়াদের দল।

সাইফ আর রুবেলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিলেন আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। এ বাঁহাতি পেসারও প্রেসিডেন্টস কাপে দারুণ বোলিং করেছেন। কাটার মাস্টারের উইকেট সংখ্যা ৮, এ বাঁহাতি পেসারের ম্যাচ সেরা বোলিং ফিগার ৩/১৫। তবে ফাইনালে নেই মোস্তাফিজও। তাই সাইফউদ্দিনের মতো ফাইনাল খেলা হচ্ছে না তারও।

কাজেই দলকে চ্যাম্পিয়ন করানোর সুযোগটা তাদের মিলছে না। সে সুযোগ পুরোপুরি থাকছে নাজমুল শান্ত বাহিনীর মুশফিকুর রহীম, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের পেসার রুবেল হোসেনের সামনে। তাই বলে দেয়া যায়, টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে মুশফিক, আফিফ আর রুবেল অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই সুযোগ পাবেন।

এখন দেখা যাক, আসর সেরা পারফরমারের ২ লাখ টাকার পুরস্কার কার হাতে ওঠে?

এআরবি/এসএএস/এমকেএইচ