ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পুরো পেস বোলিং ইউনিট নিয়ে গর্বিত তামিম

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩

এতকাল জানা ছিল, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্রধান বোলিং অস্ত্রই হলো স্পিন। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, তাদের ঘায়েল বা বধ করতে বাংলাদেশের প্রধান হাতিয়ারই ছিলেন টার্নিং বোলাররা।

কিন্তু এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সে ধারার ব্যত্যয় ঘটলো। এবার আর স্পিনাররা নন, বাংলাদেশ আইরিশদের বধ করলো পুরো পেস বোলিং দিয়ে।

প্রথম খেলায় ৩৩৮ রান করে ১৮৩ রানে জেতা ম্যাচে প্রতিপক্ষর ১০ উইকেটের ৬টিই পতন ঘটিয়েছেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ (২/১৫ ) ও এবাদত হোসেন (৪/৪২)।

আর আজ আইরিশদের ১০১ রানে অলআউট করার ম্যাচে সবকটা উইকেটই জমা পড়েছে বাংলাদেশের পেসারদের। এর মধ্যে তরুণ দ্রুতগতির বোলার হাসান মাহমুদ একাই নিয়েছেন ৩২ রানে ৫ উইকেট। তাসকিন তিনটি আর এবাদতের পকেটে জমা পড়েছে দুই উইকেট। অর্থাৎ সিরিজে ২০ উইকেটের ১৬টিই পেসারদের।

বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে পেসারদের এমন সাফল্যর নজির খুব কম। পেসারদের বারুদ ঝরানো বোলিং আর ম্যাচ জেতানো নৈপুণ্য দেখে খুব খুশি ভক্ত ও সমর্থকরা। অধিনায়ক তামিম ইকবালও খুব সন্তুষ্ট।

দ্রুতগতির বোলারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিমের কথা, ‘আমি যদি শুধু এটা বলি যে তারা দারুণ বল করেছে, এটা বলাটা ভুল হবে। আমার কাছে মনে হয়, মাঠের বাইরে যে কাজটা তারা করেছে, এটা এখন মাঠে কাজে দিচ্ছে।’

পেসারদের এ সাফল্য মোটেই ‘ফ্লুক নয়’ এটা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘তাদের এই সফলতা ফ্লুক নয়, তারা নেটে কঠোর পরিশ্রম করছে।’

তামিমের মনে হয় তার পেস বোলিং ইউনিটটা এখন দলের বড় শক্তি ও সম্পদে পরিণত হয়েছে। যা দিয়ে দেশে ও বিদেশে সাফল্য অর্জন সম্ভব। এই পেস বোলারদের নিয়ে এখন গর্ব অনুভব করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্যাপ্টেন।

আর তাই মুখে একথা, ‘আপনার হাতে যখন এমন একটা ফাস্ট বোলিং অ্যাটাক থাকবে, তখন কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি যেখানেই খেলছেন, হোম হোক বা অ্যাওয়ে, যে কোনো জায়গায় আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠবেন। পুরো পেস বোলিং ইউনিটকে নিয়েই গর্ব হয় আমার।’

‘শুধু হাসান পাঁচ উইকেট পেয়েছে বলেই নয়, অন্য কেউ তিন-চার উইকেট পেয়েছে বলে নয়, যেভাবে তারা বল করেছে পুরো সিরিজে সেটা বেশ তৃপ্তি দিয়েছে’-যোগ করেন তামিম।

এআরবি/এমএমআর/ইএ