রিশাদ একাই হারিয়ে দিলেন গাজী গ্রুপকে
তাকে ধরা হয় লেগস্পিনার। কিন্তু তরুণ রিশাদ হোসেন যে নিচের দিকে নেমে ব্যাট হাতেও অবলীলায় ‘ইয়া বড় বড়’ ছক্কা হাঁকাতে পারেন, শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজেই তার প্রমাণ মিলেছে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়েও এক ম্যাচে ৭ ছক্কা হাঁকানোর পর ওয়ানডেতে ১৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৪৮ রানের হার না মানা ইনিংস বেরিয়ে আসে রিশাদের ব্যাট থেকে।
আজ সোমবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রিমিয়ার ক্রিকেট সুপার লিগে ফের ঝলক দেখালেন রিশাদ। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ব্যাট ও বল হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠে রিশাদ যেন জানিয়ে দিলেন, একজন অলরাউন্ডার হওয়ার সব গুণই আছে আমার মধ্যে। লো স্কোরিং ম্যাচের রিশাদের একার চৌকশ নৈপুণ্যে ১৩ রানের জয় পেয়েছে শাইনপুকুর।
পুঁজি ছিল খুব কম, মোটে ১৩৮। এই সামান্য কটা রানের মধ্যেও রিশাদ হোসেনের অবদান ছিল ৩৩। ২৬ বলে ৪টি বিশাল ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে ওই ইনিংস সাজান রিশাদ। তার আগে ওপেনার তানজিদ তামিম খেলেন ৫১ বলে ৪২ রানের আরেক মাঝারি ইনিংস।
গাজী গ্রুপের দুই তরুণ বোলার আব্দুল গাফ্ফার সাকলাইন ও হুম্মা হাবিব যথাক্রমে ২১ ও ২৩ রান দিয়ে সমান ৩টি করে উইকেটের পতন ঘটিয়ে শাইনপুকুরকে ১৩৮ রানে বেঁধে ফেলেন।
ওই সামান্য পুঁজি নিয়েও শেষ পর্যন্ত জিতে যায় শাইনপুকুর। সে জয়ের রূপকার-স্থপতি রিশাদ। ৮ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট দখল করেন এই লেগস্পিনার।
গাজী গ্রুপের যে মারকুটে ওপেনার আগের খেলায় শতরান করেছিলেন এবং আজও চার ও ছক্কার ফুলঝুরিতে শাইনপুকুরের বোলারদের তুলোধুনো করছিলেন, সেই হাবিবুর রহমান সোহানও রিশাদের বলেই ফিরে যান।
আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে সমান ৪টি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝড় তুলছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। তাকে ফিরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু রিশাদের।
পরে আরও ৩ ব্যাটার সাব্বির হোসেন শিকদার, প্রীতম, কুমার ও মঈন খানও আউট হন লেস্পিনার রিশাদের ঘূর্ণিতে। সাথে দুই বাঁহাতি স্পিনার অভিজ্ঞ আরাফাত সানি (৩/৪৫) ও হাসান মুরাদ (২/২১) জ্বলে উঠলে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় গাজী গ্রুপ।
ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৩৩ রানের পর বোলিংয়ে ৩১ রানে ৪ উইকেট। ম্যাচ জেতানো অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে শাইন পুকুরের রিশাদের হাতেই।
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস