যুক্তরাষ্ট্রে মেসির জনপ্রিয়তা তলানিতে
মেজর সকার লিগে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার সময় লিওনেল মেসি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকার জনপ্রিয়তা দিনদিনই কমছে সেখানকার ভক্তদের কাছে। সম্প্রতি যা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
ইন্টার মিয়ামির জার্সিতে সর্বশেষ ৩টি ম্যাচ খেলেননি মেসি। অথচ মেসির খেলা দেখার জন্যই উন্মুখ দর্শকরা গ্যালারিতে গিয়ে হাজির হন। কিন্তু মাঠে গিয়ে যখন জানতে পারেন প্রিয় তারকা খেলবেন না, তখন রাগে-ক্ষোভে ফুঁসতে থাকা আর কিছুই করার থাকে না তাদের।
মাঠে না নামা সর্বশেষ ৩ ম্যাচেই খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন মেসি। সর্বশেষ এমএলএসে শার্লট এফসির বিপক্ষে বেঞ্চে বসে ছিলেন তিনি। এর আগে এমএলএসে হিউস্টন ডায়নামো ও কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের রাউন্ড-১৬ (প্রথম লেগ) তে ক্যাভেলিয়েরের বিপক্ষে ম্যাচেও উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ ছাড়াই খেলেননি মেসি।
যদিও মিয়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো জানিয়েছেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এবং ফিটনেস ঝুঁকি এড়াতে মেসিকে খেলানো হয়নি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলভক্তরা এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন। হিউস্টন ডায়নামো ম্যাচে মেসি না থাকায় ক্ষিপ্ত দর্শকদের অন্য একটি ম্যাচের টিকিট বিনামূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব দিতে বাধ্য হয়েছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। এরপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দর্শকরা।
সম্প্রতি ‘বেটভিক্টর কানাডা’র পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সে মেসি সম্পর্কে ২৪ শতাংশ নেতিবাচক পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে ইতিবাচক পোস্ট হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। যা আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকার গত এক বছরে সর্বনিম্ন জনপ্রিয়তা নির্দেশ করে।
২০২৪ সালের জুলাইয়েও ২৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন মেসি। কোপা আমেরিকায় জাতীয় দলের খেলায় গোড়ালির চোটে পড়ার কারণে ওই সময় মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে তখনও আর্জেন্টাইন তারকা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল ১৮ শতাংশ সমর্থক।
‘বেটভিক্টর কানাডা’র মুখপাত্র স্যাম বসওয়েল বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ মেসির জন্য সহজ ছিল না। এমএলএস ভক্তরা তার প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না। তারা ইন্টার মায়ামির তারকা খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টানা তিন ম্যাচ মিস করার পর গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেসি সম্পর্কে ২৪ শতাংশ পোস্ট নেতিবাচক ছিল। ফেব্রুয়ারিতে এটি ছিল ১৬ শতাংশ। গত এক বছরে এটি সর্বোচ্চ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভক্তদের মন জয় করতে মেসিকে আবার সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।’
মিয়ামির পরের ম্যাচ আগামী শুক্রবার কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের রাউন্ড-১৬ তে (দ্বিতীয় লেগ) ক্যাভেলিয়েরের বিপক্ষে।
এমএইচ/