অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ থেকে দেখে নিন ভবিষ্যতের তারকাদের
ফুটবলের নতুন প্রতিভাদের প্রদর্শনীর অন্যতম মঞ্চ ছিল অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৫ এর আসর শেষ হয়েছে মরক্কোর শিরোপা জয়ের মাধ্যমে। টুর্নামেন্ট জুড়ে উদ্ভাসিত হয়েছে একঝাঁক তরুণ তারকা, যারা আগামী বছরগুলোতে বিশ্ব ফুটবলের আকাশ আলোকিত করতে পারে।
ফিফার পক্ষ থেকে ওথমান মাম্মা (মরক্কো) নির্বাচিত হয়েছেন টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল জয়ী খেলোয়াড় হিসেবে। তারপরেই রয়েছেন তার দেশি ইয়াসির জাবিরি এবং আর্জেন্টিনার মিলটন ডেলগাডো।
গোল্ডেন গ্লাভ জিতেছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সান্তিনো বারবি, আর গোল্ডেন বুট যৌথভাবে ভাগ করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেনজামিন ক্রেমাস্কি, কলম্বিয়ার নেইসার ভিয়াররিয়াল এবং ফ্রান্সের লুকাস মিখাল।
মরক্কো ও আর্জেন্টিনা দাপট দেখালেও কলম্বিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, মেক্সিকো, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ তারকারাও নিজেদের জাত চেনালেন। নিচে আগামী দিনের তারকাদের প্রতিভা তুলে ধরা হলো-
পাবলো গার্সিয়া (স্পেন/রিয়াল বেটিস)
ডান উইং থেকে দুই গোল ও এক অ্যাসিস্ট। গতি ও গোল সেন্সে ছিলেন দুর্দান্ত।
গিলবার্তো মোরা (মেক্সিকো/তিজুয়ানা)
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিন গোল ও দুই অ্যাসিস্ট। খেলার গতি বোঝার ক্ষমতা অসাধারণ।
বেনজামিন ক্রেমাস্কি (যুক্তরাষ্ট্র/পারমা)
গোল্ডেন বুট জয়ী। পাঁচ গোল ও দুই অ্যাসিস্ট; ইনস্টিংক্ট ও ফিনিশিংয়ে চমৎকার।
ওথমান মাম্মা (মরক্কো/ওয়াটফোর্ড)
গোল্ডেন বল জয়ী। এক গোল, চার অ্যাসিস্ট— আর খেলার স্টাইলে প্রথম দিকের সিআর সেভেনের ছোঁয়া।
ইয়াসির জাবিরি (মরক্কো/ফামালিকাও)
সিলভার বল জয়ী। পাঁচ গোল, তিনটি অ্যাসিস্ট তৈরি; দুই গোল দিয়েছেন ফাইনালে।
মিলটন ডেলগাডো (আর্জেন্টিনা/বোকা জুনিয়র্স)
ব্রোঞ্জ বল জয়ী মিডফিল্ডার। দুই অ্যাসিস্টসহ আর্জেন্টিনার মূল ভরসা ছিলেন।
নেইসার ভিয়াররিয়াল (কলম্বিয়া/মিয়োনারিওস)
দক্ষিণ আমেরিকার টপ স্কোরার। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক।
লুকাস মিখাল (ফ্রান্স/মোনাকো)
সাত ম্যাচে পাঁচ গোল করে ফ্রান্সকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
ইয়ান ভারজিলি (স্পেন/মায়োরকা)
বাম উইং থেকে দারুণ গতি ও এক গোল, এক অ্যাসিস্ট।
গেসিম ইয়াসিন (মরক্কো/ডানকার্ক)
দুই গোল, তিন অ্যাসিস্ট; বাম-পায়ে ড্রিবলিংয়ে দর্শনীয় পারফরম্যান্স।
ডিলান গোরোসিতো (আর্জেন্টিনা/বোকা জুনিয়র্স)
রক্ষণে দৃঢ়তা, আক্রমণে অবদান— ইতালির বিপক্ষে চমৎকার এক গোল।
রদ্রিগো মেন্দোজা (স্পেন/এলচে)
মিডফিল্ডের ছন্দ-নিয়ন্ত্রক। এক দারুণ অ্যাসিস্ট করেছেন ইউক্রেনের বিপক্ষে।
নোহাম কামারা (ফ্রান্স/পিএসজি)
সেন্টার-ব্যাক হলেও বল নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য। শান্ত-স্বভাবী ও নির্ভরযোগ্য।
মাহের কারিজো (আর্জেন্টিনা/ভেলেজ)
প্লে-মেকার। তিন গোল, এক অ্যাসিস্ট; তুলনা করা হচ্ছে হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে।
ইয়ানিস বেঞ্চাউচি (মরক্কো/মোনাকো)
ইনজুরির কারণে ফাইনাল মিস করলেও গোলপোস্টে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।
নিকো সাকিরিস (যুক্তরাষ্ট্র/আর্থকোয়েকস)
ইতালির বিপক্ষে দুর্দান্ত গোল; ক্রেমাস্কির সঙ্গে মাঝমাঠের জুটি জমে উঠেছিল।
জিয়ানলুকা প্রেস্টিয়ানি (আর্জেন্টিনা/বেনফিকা)
বদলি হিসেবে শুরু, শেষদিকে দলের এমভিপি। ড্রিবল ও গতির সমন্বয়।
আইনর ফাউসকাঙ্গার (নরওয়ে/হাউগেসুন্ড)
১৭ বছর বয়সে তিনটি ক্লিন শিট ও একটি পেনাল্টি সেভ করে নজর কেড়েছেন।
জর্ডান বারেরা (কলম্বিয়া/বোটাফোগো)
চোটে পড়ার আগে দুটি অ্যাসিস্ট; দলের মধ্যমাঠের প্রাণভোমরা।
রিও ইচিহারা (জাপান/আরবি ওমিয়া আর্দিজা)
সেন্টার-ব্যাক হিসেবে চমক। ১.৮৭ মিটার উচ্চতা, দুটি গোল এবং নিখুঁত লং পাস।
আইএইচএস/