ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

হালান্ডের জোড়া গোলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আরলিং হালান্ড। সে সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি আবারও প্রমাণ করল কেন তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম ভয়ংকর দল। রোববার রাতে হালান্ডের জোড়া গোল এবং নিকো ও’রেইলির প্রথম গোলের সুবাদে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পেপ গার্দিওলার দল উঠে এলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্থানে।

এ জয়ে সিটি এখন আর্সেনালের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে। ১০ ম্যাচে আর্সেনালের অর্জন ২৫ পয়েন্ট। । অন্যদিকে, সমান ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ১৯। মৌসুমের চমক বোর্নমাউথ এই পরাজয়ের পরও চতুর্থ স্থানে রয়ে গেছে। ১০ ম্যাচে তাদের অর্জন ১৮ পয়েন্ট।

নরওয়ের গোলমেশিন আরলিং হালান্ড যেন থামার নামই নিচ্ছেন না। লিগের ১০ ম্যাচে তার গোল এখন ১৩টি এবং এই ম্যাচেও তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর।

ম্যাচের শুরু থেকে বোর্নমাউথ আক্রমণাত্মক খেললেও, তাদের হাইলাইন রক্ষণভাগ শেষমেশ বিপদ ডেকে আনে। ১৭তম মিনিটে মিডফিল্ডার নিকো গঞ্জালেজের একটি লব পাস থেকে রায়ান শেরকি হেডে বল বাড়ান হালান্ডের কাছে। প্রায় অর্ধেক মাঠ দৌড়ে এসে হালান্ড শান্ত মাথায় বল পাঠান গোলরক্ষক জর্জে পেট্রোভিচের পায়ের নিচ দিয়ে জালে— স্কোর ১-০।

কিন্তু ২৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে বোর্নমাউথ। কর্নার থেকে বল ধরতে গিয়ে সিটির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা সামান্য ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান এবং বলটি চলে আসে টাইলার অ্যাডামসের পায়ে। তিনি শক্তিশালী শটে গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে।

দোনারুম্মা প্রতিবাদ করলেও ভিএআর নিশ্চিত করে গোলটি বৈধ। ফলে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন সিটি খেলোয়াড়রা।

মাত্র ১২ মিনিট পর আবারও আঘাত হানে সিটি। তরুণ ফরাসি মিডফিল্ডার রায়ান শেরকি, যিনি ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন, এবারও নিখুঁতভাবে বল বাড়ান হালান্ডের উদ্দেশ্যে। হালান্ড এবার পেট্রোভিচকে কাটিয়ে বল পাঠান ফাঁকা জালে— ৩৭ মিনিটেই স্কোর ২-১।

অল্প সময়ের মধ্যেই হালান্ড সুযোগ পান হ্যাটট্রিকের, কিন্তু তার পাস থেকে ও’রেইলির শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন বোর্নমাউথ ডিফেন্ডার আলেক্স জিমেনেজ।

দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথ শুরুতেই কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে। এলি ক্রুপির শট পোস্টের বাইরে যায়, আর ৫৩তম মিনিটে তার পেনাল্টি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন দোনারুমা।

অবশেষে ৫৮তম মিনিটে সিটি তাদের জয় নিশ্চিত করে। ২০০তম লিগ ম্যাচ খেলতে নামা ফিল ফোডেন বল বাড়ান নিকো ও’রেইলির কাছে, যিনি এক টাচে নিয়ন্ত্রণে এনে নিখুঁত ফিনিশে বল পাঠান জালের ডান কোণে— ৩-১। এটি ছিল তার মৌসুমের প্রথম গোল।

৮২তম মিনিটে হালান্ডকে তুলে নেন পেপ গার্দিওলা, যাতে তাকে বিশ্রাম দেওয়া যায়। বদলি হিসেবে নামা ওমর মারমুশ এবং রেইজেন্ডার্স শেষ মুহূর্তে আরও কিছু সুযোগ পান, তবে পেট্রোভিচ সেগুলো বাঁচিয়ে দেন।

শেষ পর্যন্ত কোনো বিপদ ছাড়াই ৩-১ ব্যবধানে জিতে সিটি পায় পূর্ণ তিন পয়েন্ট। ম্যাচ শেষে কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, `হালান্ড আবারও দেখিয়েছে কেন সে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। কিন্তু আমি সবচেয়ে খুশি শেরকিকে নিয়ে— ইনজুরি থেকে ফিরে সে যেভাবে দুই অ্যাসিস্ট করেছে, সেটাই সিটিকে এগিয়ে দিয়েছে।‘

ম্যানচেস্টার সিটির এই জয় শুধু পয়েন্ট টেবিলে নয়, আত্মবিশ্বাসের মাপকাঠিতেও বড় প্রভাব ফেলেছে। হালান্ডের ধারাবাহিকতা, শেরকির ফিরে আসা, ও দোনারুমার দৃঢ়তা — সব মিলিয়ে গার্দিওলার সিটি আবারও শিরোপার দাবিদার হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করছে।

আইএইচএস/জিকেএস