প্রত্যাশিত জয়টা ভারতের বিপক্ষেই আশা করি: শামিত সোম
ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ২২ বছর আগে। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে জয়ের পর ভারতের বিপক্ষে আর উদযাপন করা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। চলমান এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে শিলংয়ে দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেও ড্র করে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ৮ মাস পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে হোম ম্যাচ বাংলাদেশের। এবার কী করবেন হামজা-শামিতরা?
গত ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শামিত সোমের। কানাডা প্রবাসী এই মিডফিল্ডারের এরই মধ্যে বাংলাদেশের জার্সিতে চার ম্যাচ খেলা হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলতে নেমে নতুন অভিজ্ঞতা হবে শামিতের। বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদার ম্যাচ বলে কথা!
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের পর শনিবার ঢাকা স্টেডিয়ামে প্রথম অনুশীলন করেছে জাতীয় ফুটবল দল। শামিত সোম কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সাথে। এ সময় ভারতকে হারানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন কানাডা প্রিমিয়ার লিগে কাভারলি এফসির এই মিডফিল্ডার।
শামিতের কাছে প্রশ্ন ছিল ভারতের বিপক্ষে কেমন ম্যাচ হতে পারে এবং বাংলাদেশের চেয়ে কতটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষে? শামিতে সোমের উত্তর, ‘ভারত ভালো দল, আমরাও ভালো। ভালো কম্পিটিশন হবে। তবে আমরা রেডি থাকবো। আর আশা করি জিততে পারবো। যদি ভালো খেলতে পারি আমরা জিতবো। একটা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছি। যে জয়ের চেষ্টা করছি, সে জয়টা আমরা আগামী ম্যাচেই পাবো বলে বিশ্বাস করি।’
জয়ের ট্র্যাকে কীভাবে ফিরবে বাংলাদেশ? শামিত সোম মনে করেন, ‘এটা বলা কঠিন, এটা ফুটবল, এখানে এগুলো হয়, তাই না? ভাগ্যটা আমাদের দিকে যাচ্ছে না। সবশেষ ম্যাচে ওই কর্নার কিক যে নেপাল পেয়েছে, সেটা মনে হয় অফসাইড ছিল। তবে ফুটবল এভাবেই হয়। জানি না কী কারণে এগুলো হচ্ছে। তবে আশা করি, আমরা ভাগ্যকে সাথে পাব’
‘ভারত ভালো দল। তবে তাদেরও ঘাটতি আছে। এদের মিডফিল্ড লাইন এবং ডিফেন্স লাইনে গ্যাপ থাকে। ওইটার জন্য স্পেস থাকতে পারে। নেপাল যেভাবে ডিফেন্ড করেছে, ইন্ডিয়া সেভাবে মনে হয় করতে পারবে না। আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো’-যোগ করেন শামিত।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম