লাতিন-বাংলা সুপার কাপ
সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় স্টেডিয়াম বরাদ্দ স্থগিত
জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে লাতিন-বাংলা সুপার কাপ। বাংলাদেশ, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ৩ দলের অংশগ্রহণে চলা টুর্নামেন্টটি যেন বিতর্কই এড়াতে পারছে না। মাঠে ও মাঠের বাইরে প্রথম দিন থেকেই অব্যবস্থাপনায় ভরপুর ৩ জাতির অংশগ্রহনে আমেজহীন এই আসর।
গতকাল সোমবার জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা রেড গ্রিন ফিউচার স্টার ও আর্জেন্টিনার ক্লাব আতলেতিকো চার্লোনের মধ্যকার ম্যাচটি হয় ১-১ ড্র। তবে ম্যাচটি ছিল ৩ লাল কার্ডের। বাংলাদশের ইশান হাবিব, আর্জেন্টিনার দেভিদ বেভজিনি ও মাতিয়াস রোসালেস দেখেন লাল কার্ড।
এরপর মাঠের বাইরে প্রতিদিনই অনিরাপত্তা ও অব্যবস্থাপনা নিয়েই চলছে তিন জাতির প্রতিনিধিত্ব করা এই আসর। সবশেষ গতকাল (৮ ডিসেম্বর) ম্যাচশেষে সংবাদ সংগ্রহের কাজে মাঠে প্রবেশ করতে যাওয়া এক সাংবাদিক বাধাগ্রস্ত হন নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা। পরিচয়পত্র ও টুর্নামেন্টের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেখনোর পরও দুর্ব্যবহার করে সেই নিরাপত্তাকর্মী। এক পর্যায়ে সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও সেই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাঠ বরাদ্দ বাতিল করা স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ফলে ১১ তারিখ জাতীয় স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচটি অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।
বেশকিছু শর্তে প্রতিষ্ঠানটির কাছে মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয়। মোট টিকিট বিক্রির হিসাব ও ৫০ শতাংশ অর্থ ম্যাচ শুরু আগে পরিশোধের বিষয়টির পাশাপাশি স্থাপনা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার শর্ত লঙ্ঘিত হয়েছে। সবশেষ সাংবাদিককে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে না দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় লাতিন-বাংলা সুপার কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। খেলা উপভোগ করতে টিকিট সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা। তাই বিক্রি হচ্ছে না। গেট ভেঙে মাঠে দর্শক প্রবেশ করেছে।
আরআই/আইএন/জেআইএম