ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্বকাপ বাছাই: ইউরোপ

টানা ১০ম ম্যাচে এমবাপের গোল, জয় অব্যাহত ফ্রান্সের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:১৬ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ক্লাব কিংবা জাতীয় দল- যেখানেই খেলুন। কিলিয়ান এমবাপের গোল স্কোরিং অব্যাহত রয়েছেই। এ নিয়ে টানা ১০ম ম্যাচে গোল করলেন তিনি। এবং সে সঙ্গে প্রমাণ করে দিলেন কেন তিনি বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলার? টানা দশম ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্সকে ৩-০ আজারবাইজানের বিপক্ষে জয় এনে দিলেন তিনি।

পার্ক দি প্রিন্সেসে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপ্পে তার স্বভাবসুলভ দারুণ একক প্রচেষ্টায় গোল করেন। রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একাই ড্রিবল করে আজারবাইজানের ছয়জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিচু শটে বল জালে পাঠান।

এটি ছিল এই মৌসুমে ক্লাব ও দেশের হয়ে তার ১৩ ম্যাচে ১৭তম গোল এবং জাতীয় দলের হয়ে ৫৩তম গোল। এখন তিনি ফ্রান্সের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভিয়ে জিরুর (৫৭ গোল) থেকে মাত্র চার গোলে পিছিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে আদ্রিয়ান রাবিও এমবাপের ক্রসে হেড করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (৬৯ মিনিটে)। শেষদিকে বদলি হিসেবে নামা ফ্লোরিয়ান থাভাঁ ৮৪ মিনিটে দারুণ এক শটে গোল করে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করেন।

এই জয়ের মাধ্যমে ফ্রান্স গ্রুপ ডি-র শীর্ষে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত অবস্থান ধরে রাখল।

Kylian Mbappe

ম্যাচের আগে কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছিলেন, ‘আমরা কখনো কোনো দলকে হালকাভাবে নিই না। আজারবাইজানকেও সম্মানের সঙ্গেই খেলব।’ মাঠে তার দল সে কথার প্রতিফলনই দেখিয়েছে— দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য, ও শেষ পর্যন্ত নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জয় নিশ্চিত করেছে।

ম্যাচ শেষে এমবাপে বলেন, ‘ফ্রান্সের জার্সি পরে গোল করা সবসময় বিশেষ কিছু। আমি শুধু জিততে ও দলকে এগিয়ে নিতে চাই।’

কিছু মজার তথ্য
* এমবাপ্পে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত কেবল একটি ম্যাচে (রিয়াল বনাম মায়োর্কা) গোল পাননি।
* এটি তার ক্যারিয়ারের দশম টানা ম্যাচে গোল, যা ব্যক্তিগত সেরা রেকর্ড।
* তার বর্তমান ফর্মে, জিরুর রেকর্ড ভাঙা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকেরা।

পরের ম্যাচে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। সবার নজর থাকবেন নিশ্চয়ই এমবাপের ওপর- তিনি কি পারবেন টানা এগারোতম ম্যাচেও গোল করতে?

‘ডি’ গ্রুপের অবস্থা

ফ্রান্স – ৯ পয়েন্ট (৩ ম্যাচে ৩ জয়)
ইউক্রেন – ৪ পয়েন্ট (আইসল্যান্ডকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে)
আইসল্যান্ড – ৩ পয়েন্ট
আজারবাইজান – ১ পয়েন্ট

আইএইচএস/