মিরপুরে নাঈম ঝড়, শান্তদের হারালেন মিরাজরা
টস হেরে নতুন বল হাতে নিয়েই আগুন ঝরানো শুরু করলেন শরিফুল ইসলাম। নিজেরই যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থ পারভেজ হোসেন ইমনকে রীতিমতো নাচিয়ে ছাড়লেন তিনি, সঙ্গে স্লেজিংও। জিসান আলম ছাড়া অপরাজেয় একাদশের কেউই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। তাতে মাঝারি মানের পুঁজি পায় তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নাঈম শেখের ঝড়ো ফিফটিতে সহজ জয়ই পায় অদম্য একাদশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) আয়োজিত বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে অপরাজেয় একাদশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে অদম্য একাদশ। অপরাজেয় দলের দেয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য নাইম শেখের ৪৪ বলে ৭৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে অদম্য।

রান তাড়া করতে নেমে হাবিবুর রহমান সোহান ফিরেছেন শুরুতেই। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও সুবিধা করতে পারেননি। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লড়ে গেছেন নাঈম শেখ। ২৭ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। রিপন মন্ডলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ম্যাচের সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৫।
২ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করে ফিরেছেন আফিফ হোসেন। তবে এরপর অঙ্কন, আকবররা দ্রুত ফিরলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক মিরাজের ১০ বলে ১৪* রানের ইনিংসের সঙ্গে সাইফউদ্দিনের মারা চারে জয় নিশ্চিত হয় অদম্যর। চার ওভার বল করে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন রিপন।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা অপরাজেয় শুরুতেই চাপে পড়ে শরীফুলের দারুণ সব ইনসুইংগারে। ইমন ফিরেছেন তার করা প্রথম ওভারেই। শুরুতে ধাক্কা খেলেও আরেক ওপেনার জিশান আলমের পাল্টা আক্রমণে চাপ সামলে ওঠে অপরাজেয়। দলীয় প্রথম ৫০ রানের ৪৪-ই এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাইফউদ্দিনের বলে অঙ্কনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় মারকুটে এই ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক শান্ত খেলছিলেন রয়েসয়ে। এরপর ব্যাটিংয়ে এসে উইকেটে টিকতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। ৭ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর কেউই আর কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি। জাকের আলী শুরুটা আগ্রাসী করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২৩ রান করেন তিনি। আব্দুল গফফার সাকলাইন করেন ৯ বলে ১৭ রান। অদম্য একাদশের হয়ে সমান ৩টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এসকেডি/আইএইচএস/এএমএ