বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ড
বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মেলবোর্নে পৌঁছেছে কিউইরা। সেখান থেকে সিডনিতে পৌঁছে আজ তারা দেখবেন দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা আরেকবার পরখ করে নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ প্রথমবার ফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ড।
৩৬ বছর বয়সী অভিজ্ঞ স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বিশ্বকাপ শেষে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। গতকাল ম্যাককালাম স্বীকার করলেন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শেষ ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন ভেট্টোরি। বিদায়বেলায় সাবেক অধিনায়ককে বড় কোনো উপহার দিতে চান তিনি। ভেট্টোরিকে নিয়ে ম্যাককালাম বলেন, ‘আমাদের হাতে আরো একটি ম্যাচ আছে, আশা করি এটা জিতে তার জন্য রূপকথার মতোই সমাপ্তি টানতে পারব।’
মঙ্গলবার অকল্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের স্নায়ুক্ষয়ী জয়ে নায়ক গ্রান্ট এলিয়টের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ভেট্টোরি। তিনি যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, তখন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১৭ বলে ২৯ রান। করেছেন ছয় বলে সাত রান, তবে ডেল স্টেইনের করা শেষ ওভারে মহামূল্যবান এক বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যটা হাতের কাছে নিয়ে আসেন ভেট্টোরিই। এর পর এলিয়টের ছক্কায় ইতিহাস।
মাত্র সাত রান হলেও ভেট্টোরির ইনিংসটার মূল্য বোঝেন ম্যাককালাম। তাই বললেন, ‘গত রাতে (মঙ্গলবার) শেষ পর্যন্ত তার থাকাটা অসাধারণ, আমার মনে হয় এটা সারা জীবন সে মনে রাখবে।’ ভেট্টোরি নিজেও ইতিহাসের অংশ হতে পেরে উৎফুল্ল।
অকল্যান্ড ছাড়ার আগে এ সব্যসাচী ক্রিকেটার বলেন, এলিয়ট এটা করতে পারায় আমি ভীষণ আনন্দিত, এটা বিরাট স্বস্তির। এত দর্শকের সামনে এমন জয়, আমার জীবনের পরিপূর্ণ এক মুহূর্ত।
আগে ছয়বার সেমিফাইনাল খেলে কখনই জেতা হয়নি। সপ্তমবারের চেষ্টায় এবার ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। এর গুরুত্ব অনুধাবন করে ভেট্টোরি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অভিজ্ঞতা অতীতে আর কারো নেই, কাজেই এটা আমাদের জন্য অভিনব এবং একই সঙ্গে ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
এমআর/পিআর