ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড গড়েই

প্রকাশিত: ০২:১১ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই ফেবারিট নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক চলেছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নতির জন্যই অনেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদিসহ অনেকে রেকর্ড ঘেটে তা মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। কেননা ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানকে আর হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার কি পারবে? গেল বছর এশিয়া কাপে এই বাংলাদেশেই ঘটেছিলো একটি ঘটনা। ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেছিলো বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করে জয় তুলে নিয়েছিলো পাকিস্তান। ওটি ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসের ইনিংস সর্বোচ্চ রান। আজ শুক্রবার মিরপুরে ভাঙলো যা। আর ওই রান তাড়া করে জেতাটাই আবার রেকর্ড পাকিস্তানের জন্য। এর বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই তাদের।

বাংলাদেশ এবার ৬ উইকেটে করেছে ৩২৯ রান। বাংলাদেশের রেকর্ড রান। আর জিততে হলে পাকিস্তানকেও রেকর্ড গড়ে জিততে হবে। দারুণ এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ১৬ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। ফিরে গেছেন সরফরাজ ও হাফিজ।

মুশফিককে ৩৫ ও তামিমকে ৪৭ রানে বাগে পেয়েও আউট করতে পারেনি পাকিস্তান। দুবারই ক্যাচ পড়েছে। আর তামিম ফর্মে ফিরেছেন ১৩২ রানের ইনিংস খেলে। ১০৬ রানের ইনিংস এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। এই দুই টাইগার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই বিশাল একটি সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে স্বাগতিকরা। মিরপুরে এমন বড় একটি সংগ্রহের পর জয়ের কথা ভাবতেই পারে বাংলাদেশ।
৬৭ রানের মধ্যে সৌম্য সরকার (২০) ও মাহমুদ উল্লাহকে (৫) হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। মনে হয়েছিলো বিপর্যয় না ঘটে যায়। তখন রান তোলার গতিও কমে গিয়েছিলো। কিন্তু মুশফিক এসে তামিমের সঙ্গে যোগ দেবার পর সবকিছু কেমন পাল্টে যায়। বাংলাদেশের রানের  গতি বাড়ে। তরতরিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান তামিম।

৪৭ রানে তামিমের দেয়া ক্যাচ নিতে পারেননি সাদ নাসিম। আর মুশফিক ৩৫ রানে ক্যাচ দিলেও তা ফেলে দেন জুনাইদ। এর মাশুল গুনেছে পাকিস্তান। ১৭৮ রানের জুটি হয়েছে। তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ১১২ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। জবাব দিয়েছেন তার দিকে ধেয়ে আসা সমালোচনাকে। তিনি বিদায় নেবার আরো পরে মাত্র ৬৯ বলে সেঞ্চুরি এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। এটি মুশফিকের তৃতীয় সেঞ্চুরি। তামিম ১৩৫ বলে ১৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেছেন ১৩২ রান। আর মুশফিক ৭৭ বলে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। শেষের দিকে সাকিবের ২৭ বলের ৩১ ও সাব্বিরের ৭ বলের ১৫ দলকে নিয়ে গেছে রেকর্ড রানের দিকে।

আর পাকিস্তানকে তাই জিততে হলে রেকর্ড গড়েই জিততে হবে। আর তা না পারলে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তানকে হারানোর অপেক্ষার অবসান হবে বাংলাদেশের।

উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের গর্বিত স্পন্সর হয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অন্যতম ব্র্যান্ড প্রাণ ফ্রুটো এবং কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে ভিশন।

একে/পিআর