চাপেই ভেঙ্গে পড়েছিল বাংলাদেশ!
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তিন ম্যাচেই সহজ জয় তুলে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশের যুবারা; কিন্তু সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমিফাইনালে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেলো বাংলাদেশের। এমন হারের কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অকপটেই স্বীকার করলেন, ‘চাপেই ভেঙ্গে পড়েছি আমরা।’
বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আমরা সবাই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেট খেলি। আমরা যতই বলি, চাপ নেব না; কিন্তু চাপ সব সময়ই মাঠে থাকে। এত দর্শকের সামনে কেউ কোনো দিনও খেলেনি। এত দর্শক, স্বাভাবিকভাবেই চাপ। সেমিফাইনাল ম্যাচ জিততে হবে সেই চাপ। আমাদের বয়স এখনো অল্প। এগুলো এখনো সামলে ওঠার বয়স এখনো হয়ে ওঠেনি, ওইভাবে অভ্যস্ত না আমরা।’
তবে নিয়মিত এমন ম্যাচ খেলে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান অধিনায়ক। যোগ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা অবস্থানটা দেখছি, দর্শকের সামনে খেলছি, আমরাও বেড়ে উঠছি। আশা করি এরকম সমস্যা সামনে হবে না। এরকম চাপের মুহূর্তে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে, তারপর মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে- এখন থেকে এগুলো শিখতে পারলে ভবিষ্যতেও এগুলো কাজে লাগবে। কারণ এখন থেকেই বেশিরভাগ ক্রিকেটারর জাতীয় পর্যায়ে ও টপ লেভেলে খেলবে। এ জিনিসগুলো এখন থেকে শিখছি তা দুই-তিন বছর পর অনেক সাহায্য করবে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্যে।`
অনূর্ধ্ব-১৯ এর এই দল থেকে অনেককেই আগামী দিনের তারকা মনে করছেন মিরাজ। নিয়মিত অনুশীলন এবং ক্রিকেটে মনযোগী থাকলে এখান থেকে অনেক খেলোয়াড়ই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাবে বলে তার ধারণা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের এ দলটির মধ্যে খুব ভালো ক্রিকেটার আছে যারা এক-দুই বছরের মধ্যে নিজেদেরকে অনেক উচুঁতে নিয়ে যেতে পারবে। তারা দেশের জন্যে ক্রিকেট খেলবে। তারা জাতীয় দলে খেলতে পারবে। তবে জাতীয় দলে খেলার জন্যে অনেক পোক্ত হতে হবে। এখন জাতীয় দলে ঢোকার থেকে আরও এক বছর পর ঢুকলে আমরা পাকা হতে পারব। আাশা করি এ দলে অনেক ক্রিকেটার আছে যারা জাতীয় দলে, ভুল পথে না ঢুকলে, ক্রিকেটে ফোকাস থাকলে অনেকে ভালো খেলতে পারবে ভবিষ্যতে।’
আরটি/আইএইচএস/পিআর