ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

‘কিপিং গ্লাভস’-এ বাংলাদেশের অজানা ক্রিকেট ইতিহাস

প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

একজন উইকেটরক্ষক। ছিলেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। শফিকুল হক হীরা। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম। ছিলেন শহীদ জুয়েল-মোস্তাকদের সতীর্থ। পূর্ব পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন। ঢাকায় টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিছিল-সংগ্রামে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের হাল ধরেছেন।

আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট যে এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, তার বীজই তো রোপন করেছিলেন শফিকুল হক হীরারা। যার ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বসেরা হচ্ছেন আজকের সাকিব-তামিম-মাশরাফিরা। সেই শফিকুল হক হীরার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘কিপিং গ্লাভস’। যেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক অজানা অধ্যায়। স্বাধীনতার আগে থেকে এ দেশের ক্রিকেট ইতিহাস। রয়েছে সেই ক্রিকেট আজ আজকের ক্রিকেটের যোগসূত্র।

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক শফিকুল হক হীরার আত্মজীবনী নিয়ে ‘কিপিং গ্লাভস-এর মোড়ক উম্মচন হয়ে গেলো আজ। নিজের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আত্মজীবনীর মোড়ক উম্মোচন করলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

Keeping-Gloves
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সৌজন্যে ‘কিপিং গ্লাভস’ নামক এই বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব সাহিত্য ভবন। তবে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের আত্মজীবনীটি সম্পাদনা করেছেন প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী।

সোমবার নিজের জন্মদিনে মিরপুর স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বইয়ের মোড়ক উম্মচন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে তার জন্মদিনের কেকও কাটা হয়। অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী, মেয়ে বোন ও পরিবারের অন্য সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির সাবেক পরিচালক শাকিল কাসেম, বিসিবি পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, বিসিবির সাবেক পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, রাশেদ চৌধুরী ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

প্রায় এক বছর আগে শফিকুর হক হীরার ‘কিপিং গ্লাভস’ নিয়ে লেখার কাজ শুরু করেন শামীর চৌধুরী। বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বই নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন তিনি। এ সময় তিনি জানান বাংলাদেশ ক্রিকেটে শফিকুর হক হীরার অবদানের কথা। মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ভেন্যু তৈরিতে শফিকুর হক হীরার অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

Keeping-Gloves
শফিকুর হক হীরা সম্পর্কে সাবেক অধিনায়ক পাইলট বলেন, ‘হিরা ভাই খেলোয়াড় হিসাবে কেমন ছিলেন তা অনেকে বলেছে। তিনি ম্যানেজার হিসাবে ছিলেন খুবই চমৎকার। তিনি শুধু ম্যানেজার ছিলেন না, আমার বড় ভাই ছিলেন। আমি ভুল করলে, তিনি যেন পারলে মাঠে নেমে যেতেন। ভাগ্য ভালো আমি ক্যাচ বা স্ট্যাম্পিং মিস তেমন করিনি। করলে তিনি মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে যেতেন। তার আত্মজীবনীতে নিশ্চয় অনেক কিছুই পাবেন যে, তারা কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলেছেন। কতটা ভালোবাসা নিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন।’

এছাড়াও শফিকুর হক হীরা সম্পর্কে কথা বলেন আরেক সাবেক অধিনায়ক ও হীরার সতীর্থ গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তখনকার সময়ে ক্রিকেট খেলা কতটা কঠিন ছিল তা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন হিরা ভাই। পরবর্তীতে আমিও হিরা ভাইয়ের অধিনায়ক ছিলাম। আমাদের মাঝে একটা চমৎকার সম্পর্ক। পূর্ব পাকিস্তানের সময় তিনি ক্রিকেট খেলেছেন। সেটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তখনকার সময়ে ঢাকার উইকেট দেখে অনেকেই বলতো এই উইকেটে তোমাদের কিছু হবে না। কোন বল বাউন্স হতো। কোনটা হতো না। হলেও কতটুকু তা বুঝা যেত না। সে সময় কিপিং করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আর এই চ্যালেঞ্জিং কাজটাই হিরা ভাই করেছে।’

আরটি/আইএইচএস/আরআইপি