ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আবারও বাউন্সার আতঙ্ক!

প্রকাশিত: ০৪:৪১ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

শর্ট বল। লাফ দিয়ে চোখের পলকে চলে এলো মাথার কাছে। তাল মেলাতে পারলেন না ব্যাটসম্যান। খট করে এসে হেলমেটে লাগলো বল। এক লহমার জন্য ব্যাটসম্যান স্থবির হয়ে গেলেন। সেই সঙ্গে স্থবির হয়ে গেলো অ্যাডিলেড ওভাল, তথা পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।

বোলার হতভম্ব হয়ে চেয়ে রইলেন। ফিল্ডাররা সবাই চোখে-মুখে আতঙ্ক নিয়ে ছুটে এলেন ব্যাটসম্যানের কাছে। কারো মুখে কথা নেই। নাথান লিওন শুধু কোনোক্রমে ডেভিড ওয়ার্নারকে বললেন আবার! না, এবার আর কোনো ফিল হিউজ কাণ্ড ঘটেনি। হিউজের মতো বলটা বিরাট কোহলির অরক্ষিত কোথাও লাগেওনি। একেবারে ক্রিকেট বোর্ডের লোগের ওপর নিজের সামলানোর ইনিংসের প্রথম বলটা লাগার পর দিব্যি নিজেকে সামলে নিয়েছেন কোহলি। এরপর দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজেকে সুস্থ বলে ঘোষণাও করে দিয়েছেন কোহলি।

কিন্তু এর মধ্যেই এই বাউন্সার আতঙ্কিত ক্রিকেট বিশ্বকে আরেকটা শঙ্কিত করে দিয়ে গেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে সারা বিশ্বই ফিল হিউজের মৃত্যুর পর বাউন্সার ছাড়ার জন্য ফাস্ট বোলারদের উত্সাহিত করছিলেন। কারণ, শেন অ্যাবটের বাউন্সারে হিউজের প্রয়াণের ফলে ফাস্ট বোলাররা বাউন্সার আর দেবেন কি-না, এটা নিয়ে বেশ দ্বিধায় ভুগতে শুরু করেছিলেন। ফলে বারবার বরং হিউজের ঘনিষ্ঠদের তরফেও বলা হচ্ছিল, ফাস্ট বোলিংয়ের এই রুদ্ররূপ দিয়েই প্রায়াত অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানকে সম্মান দেখানো হোক।

হিউজের শোক বুকে নিয়ে অ্যাডিলেট টেস্ট শুরু হওয়ার পর প্রথম দিনে বরুন অ্যারন প্রথম বাউন্সার দেয়ার পর মাঠের সবাই করতালি দিয়ে সেটাকে স্বাগত জানান। কোহলির এই ঘটনার আগ পর্যন্ত বেশ ভালোই চলছিল বাউন্সার আর পাল্টা আক্রমণের খেলা। কোহলির সামলানো ইনিংসের প্রথম বলে তেমনই একটা বাউন্সার দিয়েছিলেন মিশেল জনসন। এটা মোটেও তার সবচেয়ে গতির বল ছিল না, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তো নয়ই। তারপরও এই ডেলিভারি কোহলির মাথায় লাগায় সবচেয়ে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন সেই জনসনই। তাকে রীতিমতো ব্যাটসম্যানও সান্ত্বনা দিয়েছেন।

অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও অনেকক্ষণ ধরে বুঝিয়েছেন, মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যাপারটা যে সোজা ছিল না, সেটাই বলছিলেন হিউজের আঘাতটা চোখের সামনে দেখা লিওন। সেদিন মাঠে ছিলেন এই টেস্টের চার খেলোয়াড় নাথান লিওন, ডেভিড ওয়ার্নার, শেন ওয়াটসন ও ব্র্যাড হাডিন। লিওন বলছিলেন, তারা চার জনই পাথর হয়ে গিয়েছিলেন ভয়ে, আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছিল, মনে হচ্ছিল নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। আবার এই শব্দ শুনলাম! একেবারে একইরকম। আমাদের চার জনেরই অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আমি ওদের ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ঠিক আছে তো! হ্যাঁ, ঠিক আছে, লিওন। বাউন্সার চলতেই পারে।