ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

গুগল ফটোস আসলে শুধু ছবি রাখার জায়গা নয়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

অনেকেই গুগল ফটোসকে কেবল একটি অনলাইন অ্যালবাম বা ছবি রাখার জায়গা বলে ভাবেন। কিন্তু বাস্তবে এটি তার চেয়েও অনেক বেশি। স্মার্টফোনের ছবি ব্যাকআপ রাখা থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাজানো, এডিট করা, এমনকি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়া—সবই করে গুগল ফটোস।

ছবি রাখার সঙ্গে সুরক্ষাও

গুগল ফটোসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ক্লাউড স্টোরেজ। আপনার ফোন হারিয়ে গেলেও, ছবি থাকে নিরাপদে অনলাইনে। গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করলেই যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজেই ফিরে পাবেন সব ছবি ও ভিডিও।

ছবি সাজানো ও খোঁজা

এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)–নির্ভর সার্চ সিস্টেমের কারণে গুগল ফটোস আপনার ছবি সহজে সাজিয়ে রাখে।
যেমন,‘সি’, ‘ফুড’, বা ‘ঢাকা’ লিখে সার্চ দিলে, অ্যাপ নিজেই সংশ্লিষ্ট ছবিগুলো খুঁজে দেখায়। মুখ শনাক্ত করার সুবিধা থাকায় নির্দিষ্ট বন্ধুর ছবি খুঁজতেও সময় লাগে না।

এডিটিং আর অটো ফিল্টার

গুগল ফটোস এখন ছোটখাটো ফটো এডিটরও বটে। এর মাধ্যমে উজ্জ্বলতা, কনট্রাস্ট, রঙ, এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ড পর্যন্ত ঠিক করা যায়।
‘অটো-এনহ্যান্স’ অপশন দিলে ছবিটি নিজেই ঝকঝকে হয়ে ওঠে।

প্রিমিয়াম সংস্করণে রয়েছে ‘ম্যাজিক ইরেজার’— যেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু মুছে ফেলা যায় কয়েক সেকেন্ডেই।

পুরনো স্মৃতির ঝলক

অ্যাপটি মাঝে মাঝে ‘অন দিস ডে’ নোটিফিকেশন পাঠায়—এক বছর বা পাঁচ বছর আগে তোলা ছবিগুলো দেখিয়ে দেয় নতুন করে। এতে স্মৃতিগুলো থেকে যায় জীবন্ত ও গোছানো।

স্পেস বাঁচানোর উপায়

গুগল ফটোসের ‘স্টোরেজ সেভার’ মোডে ছবি কিছুটা কম রেজোলিউশনে সংরক্ষণ হয়, ফলে গুগল ড্রাইভের জায়গা কম খরচ হয়। এছাড়া ‘ফ্রি আপ স্পেস’ অপশন দিয়ে ফোনে থাকা ডুপ্লিকেট বা ব্যাকআপকৃত ছবি মুছে ফেলা যায়।

গুগল ফটোস তাই কেবল একটি ছবি রাখার জায়গা নয়—এটি একধরনের স্মার্ট ডিজিটাল অ্যালবাম, যেখানে নিরাপত্তা, সৃজনশীলতা এবং স্মৃতিচারণ—সবকিছু একসঙ্গে মেলে।

সূত্র: গুগল ফটোস হেল্প সেন্টার (২০২৪), টেকক্রাঞ্চ, অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি

এএমপি/এএসএম

আরও পড়ুন