ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল ইনোভেশন এক্সপো শুরু ২৯ জানুয়ারি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রযুক্তির সর্বশেষ উদ্ভাবন, সাফল্য ও সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের অবস্থান দেশ ও বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২৬’। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিএফসিসি) ২৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সদস্য (বিনিয়োগ ও পার্ক সমন্বয়) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান এবং বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রদর্শনীর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

প্রযুক্তির উদ্ভাবন, দেশের সক্ষমতা, সাফল্য ও সম্ভাবনা, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার উদ্দেশে এই এক্সপোর আয়োজন করা হয়েছে। বিসিএস মহাসচিব বলেন, এবারের আয়োজনে আমরা তিন লাখ দর্শনার্থীর প্রত্যাশা করছি। স্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ কোম্পানি, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন থাকছে এই প্রদর্শনীতে। সেই সঙ্গে থাকছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বিভিন্ন সেমিনার, প্যানেল আলোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নীতি-নির্ধারণী আলোচনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা চাই ইনোভেশন। ইনোভেশনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই। দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন আইসিটি গ্র্যাজুয়েট রয়েছেন। আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর কেবল প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়; বাংলাদেশ ধীরে ধীরে প্রযুক্তি উৎপাদন, উদ্ভাবন ও রপ্তানির একটি নির্ভরযোগ্য বৈশ্বিক হাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। আমরা চাই-ভবিষ্যতের যে কোনো সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিজস্ব প্রযুক্তির ওপর ভর করেই এগিয়ে যাক। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতের যে কোনো সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ নিজস্ব প্রযুক্তির ওপর ভর করেই এগিয়ে যাবে।

‘বাংলাদেশ টু দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্যে শুরু হতে যাওয়া এই মেলায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শতাধিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তর এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। স্থানীয় ডিজিটাল পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ও সার্ভিস প্রোভাইডারস, স্থানীয় উদ্ভাবনী প্রদর্শক, আন্তর্জাতিক বিখ্যাত ব্রান্ড, কম্পিউটার গেমিং উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, হার্ডওয়্যার খাতে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান, ওইম (অরিজিনাল ইকুয়েপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস) এবং সফটওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে।

তথ্যপ্রযুক্তির নতুন সব পণ্য, সেবা, জীবনশৈলী ও ধারণা উপস্থাপন করবে এসব প্রতিষ্ঠান। তথ্যপ্রযুক্তির সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি ও উদ্যোগগুলোও এতে উপস্থাপন করা হবে। ১৩০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে এসব প্রদর্শন করা হবে।

২০১৫ সাল থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বিসিএস যৌথভাবে প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে।

ইএইচটি/এএমএ/এএসএম