ভিডিও EN
  1. Home/
  2. তথ্যপ্রযুক্তি

সাইবার নিরাপত্তায় প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৬

দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধু সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, বরং সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার গুলশানের ক্যাপিটাল রিক্রেশন ক্লাবে সাইবার নিরাপত্তা-বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।

সেমিনারে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গত মাসের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৩২ লাখ। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারেরই কাজ নয়, বরং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, মূলত ইন্টারনেট জগতের কোনো বর্ডার (সীমানা) নেই এবং এখানে কারো একক মালিকানাও নেই। পুরো পৃথিবী এক। সুতরাং বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের ভয়াবহতা ব্যাপক। পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে আক্রমণ করা সম্ভব। তাই সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

‘সাইবার নিরাপত্তা-পূর্বাভাস; প্রস্তুতি; সুরক্ষা’ শিরোনামে দিনব্যাপী এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের আয়োজন করে ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (আই-সাকা) ঢাকা শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা শাখার প্রথম সভাপতি আলী আশফাক।

সেমিনারে আই-সাকার ঢাকা শাখা সভাপতি একেএম নজরুল হায়দার বলেন, বিশ্বে প্রথম একটি মাত্র দেশ নিজেদের ডিজিটাল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ২০০৮ সালে এবং সেটি হলো বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েও মূলত সে তুলনায় আমরা সাইবার নিরাপত্তায় বেশি দূর এগোতে পারিনি।

তিনি বলেন, শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নয়, প্রত্যেক মানুষই সাইবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই সচেতনতা খুব জরুরি। সাইবার নিরাপত্তা অনেক ব্যাপক বিষয়। পাশের দেশগুলোর তুলনায় এখনো আমাদের অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

আলোচনায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলফিকার আহমেদ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, আই-সাকার ঢাকা শাখা সেক্রেটারি ওমর ফারুক খন্দকার, গ্রামীণফোনের ইনফরমেশন সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান শাহাদাত হোসাইন, ইনফরমেশন সিস্টেমস সাইবার অ্যাওয়ারনেসের বাংলাদেশ শাখার (আইএসএসএ) সভাপতি এমআর মারুফ আহমেদ ও ইস্টার্ন ব্যাংকের ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনার শেষে আই-সাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কোর্স সম্পন্নকারী ৩৫ জন সদস্যের হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।

এআর/বিএ/আরআইপি