বর্ষায় ভ্রমণকালে যে ৫ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

বর্ষায় প্রকৃতি সেজে ওঠে আরও রঙে ও রসে। তাই তো এ সময় ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যান দেশ থেকে দেশান্তরে, শুধুই প্রকৃতি দর্শনে। এ সময় ঝরনা বেয়ে চলেন নিজ গতিতে, সমুদ্র হয়ে ওঠে উত্তাল, গাছের পাতাগুলো হয়ে ওঠে আরও সবুজ- সব মিশিয়ে প্রকৃতি বর্ষায় যৌবন লাভ করে। আর এ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয় পর্যটকরা।
যদিও ভ্রমণপ্রিয় পর্যটকদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোনো মৌসুম লাগে না। তবে এ সময় ঘুরতে গেলে অবশ্যই বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে, না হলে ঘটতে পারে বিপদ। জেনে নিন বর্ষায় কোথাও ভ্রমণকালে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন-
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
>> বর্ষাকালে এই বৃষ্টি আবার এই রোদ। বৃষ্টি হলে রাস্তায় জমে কাদা-পানি। তাই এই সময় ভ্রমণে যাওয়ার সময় কেমন জুতা পরবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। সবচেয়ে ভালো হয় পানি শোষণ করে এমন কোনো জুত পরা। এতে জুতা ভিজে গেলেও সমস্যা হবে না।
>> জুতার মতো বর্ষাকালে জামাকাপড় ভিজে যেতে পারে। তাই সুতির জামাকাপড়ের বদলে সিন্থেটিকের পোশাক পরুন এ সময়। যাতে ভিজে গেলেও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
>> বর্ষায় সর্দি-জ্বর হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি এ সময় পেটের গোলমালও বাড়ে। তাই এমন আবহাওয়ায় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। যতটা সম্ভব বাড়ির তৈরি খাবার সঙ্গে নিন। না হলে শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখা জরুরি।
>> ট্রাভেল ব্যাগটিও যেন ‘ওয়াটারপ্রুফ’ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। না হলে হঠাৎ বৃষ্টি এলে ব্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে থাকা জিনিসও ভিজে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
>> বর্ষায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপও বেড়ে যায়। তাই কোথাও ভ্রমণে গেলে লম্বা হাতার পোশাক পরুন। মশা ছাড়াও অন্যান্য পতঙ্গের উৎপাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহার করুন।
জেএমএস/এএসএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
উটিতে ২ কোটি বছর আগের গাছের ফসিল, বানর না চড়তে পারা বিরল গাছ

ছবির মতো সুন্দর শহর উটি। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা এক শৈল শহর। ছিমছাম, সাজানো-গোছানো। নীলগিরি পর্বতের কোলে প্রায় আট হাজার ফুট উঁচুতে বৈচিত্র্যময় এক শহর। এক সময়ের টোডা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এ শহরে ব্রিটিশরা উপনিবেশ গড়ে। সুন্দর বাসোপযোগী আবহাওয়া নজর কাড়ে তাদের। ব্রিটিশরা বিতাড়িত হয়েছে দেড়শ বছরেরও বেশি সময় আগে। তবে পরতে পরতে তাদের চিহ্ন। উটির চা, চকলেট, স্থাপনা থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত ইংলিশদের রুচি, অভ্যাস, বাণিজ্য বিস্তৃত এখনো।
প্রযুক্তির সহায়তায় এখন কোনো স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায় ভ্রমণের আগেই। দিল্লি থেকে উটি যাত্রা মানেই তীব্র রোদ থেকে এসি রুমে ঢোকার মতো। নেট ঘেঁটে জানা যায়, ঠান্ডা আবহাওয়ার এ শহরে অনেক বৈচিত্র্যের পাশাপাশি রয়েছে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন। যেখানে আবার অনেক দুর্লভ বৃক্ষের পাশাপাশি রয়েছে দুটি মাঙ্কি পাজল ট্রি (বানর বিভ্রান্ত হওয়া গাছ) ও দুই কোটি বছর আগের একটি গাছের জীবাশ্ম (ফসিল)।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ভারত সফরে যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিক প্রতিনিধিদলের ভ্রমণ তালিকায় রয়েছে এটি। কিন্তু উটি ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সিজন এটি নয়। পাহাড়ে বর্ষাকালে বৃষ্টি থাকে অনেক বেশি। আমাদের ক্ষেত্রে তাই বাধা হয়ে দাঁড়ালো বিরূপ আবহাওয়া। তবু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো আবহাওয়া যেমনই হোক বিরল এ গাছ ও জীবাশ্ম দেখার সুযোগ হাতছাড়া নয়।
আমাদের গাইডও ঠিকঠাক জানেন না এ খবর। তাই উটি শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি এ বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকেও চেনা যাচ্ছিল না মাঙ্কি পাজল ট্রি। পরে তিনি স্থানীয়দের কাছে শুনে নিয়ে গেলেন গাছের কাছে। ছবির মতো স্বচ্ছ, সুন্দর গার্ডেনে মিনিট দশেক হাঁটার পরই দেখা গেলো বানর বিভ্রান্ত হওয়া সেই আকর্ষণীয় গাছ। বানর চড়তে পারে না এমন গাছ পৃথিবীতে খুব কমই আছে। অনেক কাঁটাযুক্ত গাছেও তারা দিব্যি উঠে যায়। তাহলে কী এমন আছে এই গাছে যে বানর চড়তেই পারে না। বিষয়টি স্বচক্ষে দেখতে উদগ্রীব ছিল সবাই।
সবুজ ছোট ছোট পাতা। লম্বা শাখা-প্রশাখা। অর্নামেন্টাল গাছ হিসেবেই বেশি পরিচিত। পাতায় হাত দিতেই কারেন্ট শকের মতো অবস্থা! দেখতে সুন্দর হলেও পাতা তীক্ষ্ণ ও সূচালো। তবে দেখে বোঝার উপায় নেই। হাত দিতেই বোঝা গেলো কেন বানর উঠতে পারে না, বা বিভ্রান্ত হয়। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলি গাছটির অরিজিন। ১৭৮০ সালে সেখানে আবিষ্কৃত হয়। চিলি পাইন নামেও গাছটি পরিচিত। বোটানিক্যাল নাম অ্যারাউকারিয়া অ্যারাউকানা।
গাছটি দীর্ঘজীবী। বাঁচে সাতশ বছরের বেশি। তাই একে জীবন্ত জীবাশ্মও বলে। গার্ডেনের দ্বিতীয় গাছটি একটু নিচু ঢালে। লম্বা গাছটি শতবর্ষী। গাছ দুটির আশপাশে ঘুরে, পর্যবেক্ষণ করে কাঁটার মতো পাতা ছাড়া বানর না উঠতে পারার আর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া গেলো না।
উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, ১৮৫০ সালের দিকে গাছটি ব্রিটেনে পরিচিতি পায়। প্রজাতিটি বাগানে খুব বিরল ও ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিল না। উইলিয়াম মোলসওয়ার্থ নামে একজন ব্যক্তি গাছটি তার বন্ধুদের দেখাতে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে একজন বিখ্যাত ব্যারিস্টার চার্লস অস্টিন গাছটি দেখে মন্তব্য করেছিলেন, ‘এটি একটি বানরকে আরোহণ করতে ধাঁধায় ফেলবে। পরে সেখান থেকেই নামকরণ করা হয় মাঙ্কি পাজল ট্রি।
৫৫ একর পাহাড়ি জায়গার ওপর ১৮৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বোটানিক্যাল গার্ডেনটি তামিলনাড়ু সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এখানকার উচ্চতা ২২শ থেকে ২৫শ মিটার। ব্রিটিশরা এ বাগানের নকশা করে সেখান থেকে কম দামে সবজি পাওয়ার জন্য। ব্রিটিশদের অধীনে কিছু ইউরোপিয়ান সেটেলার এই গার্ডেনে ছিল। বাগানের কিছু অংশ এখনো ইউরোপিয়ান দেশ ইতালির স্টাইলেই রয়ে গেছে। বর্তমানে এখানে প্রায় এক হাজার প্রজাতির বিভিন্ন গাছ, ফার্ন, ফুল, বনসাইসহ বিভিন্ন উদ্ভিদ রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি লন ও পুকুর।
বোটানিক্যাল গার্ডেনটির আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ দুই কোটি বছর আগের একটি গাছের কাণ্ডের ফসিল বা জীবাশ্ম। এত বছর আগের কোনো জীবাশ্ম সাধারণ মানুষের দেখার সুযোগ পৃথিবীর খুব কম দেশে আছে। এখানে সেটি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা। তামিলনাড়ুর দক্ষিণের জেলা আরকটের তিরুভাক্কারাই ন্যাশনাল ফসিল পার্ক থেকে এটা এখানে আনা হয়।
অন্তত ঘণ্টা দুয়েক সময় পেলে গোটা বোটানিক্যাল গার্ডেন ভালোভাবে ঘুরে ফেলা সম্ভব। প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী এখানে আসে। ঘুরে বের হওয়ার সময় গেটের কাছে পাবেন টোডা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন উপকরণ ও চা।
এএসএ/জেআইএম
দেশে দেশে উদ্ভট যত যানবাহন

সাইফুর রহমান তুহিন
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য নানা ধরনের যানবাহন আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাইভেট কার বা মাইক্রো, বাস, ট্রেন, বিমান, মোটরসাইকেল, রিকশা, সাইকেলসহ বিভিন্ন মোটরচালিত যানবাহন। এসবই আমাদের চেনা যানবাহনগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে সারাবিশ্বে এমন সব উদ্ভট যানবাহন আছে, যা দেখলে আপনি বিস্মিত হয়ে যাবেন।
কোনো দেশের মানুষ গণপরিবহণ হিসেবে ব্যবহার করেন বাঁশের ট্রেন, কেউ আবার ল্যান্ড রোভারকে ব্যবহার করেন ট্যাক্সি হিসেবে। কেউ খোলামেলা কোকোট্যাক্সি আবার কেউ নৌকায় হিসেবে বিশালাকার ঝুঁড়িতে পানিতে ভাসেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন দেশের উদ্ভট সব যানবাহন সম্পর্কে-
কোকোট্যাক্সি, কিউবা
নব্বইয়ের দশকে গোটা বিশ্বজুড়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। এসবের মধ্যে আছে শীতল যুদ্ধের অবসান (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাবার ফলে)। একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তখন কিউবাতেও অনেক কিছুই ঘটেছে। ওই সময় সেখানে আবির্ভাব ঘটেছিলো কোকোট্যাক্সির।
অটোরিকশার মায়াবী এক রূপ হলো এই ককোট্যাক্সি। নব্বইয়ের দশকে কিউবায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের খুবই পছন্দ ছিলো। এখনো কিউবার রাস্তায় আছে এর উপস্থিতি। একটি কোকোট্যাক্সিতে চড়ে রাজধানী হাভানা শহরটি দ্রুত সময়েই ঘুরে দেখা যায়।
বাহনটির নাম কেনো কোকোট্যাক্সি? এই নাম নাকি এসেছে কোকোনাট অর্থাৎ নারকেল থেকে। এটি দেখতেও অনেকটা নারকেলের অর্ধাংশের মতো।
নরি, কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়া ভ্রমণে আপনার জন্য সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতার মধ্যে একটি হবে নরি অর্থাৎ বাঁশের ট্রেন। অতীতে এটিই নাকি ছিল সেখানকার যোগাযোগের একটি সক্রিয় মাধ্যম। তবে এখন পর্যটক আকর্ষণ হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়। বাতামবাং নামক স্থানে এই বাঁশের ট্রেন চড়া যাবে।
এই ট্রেনের গতি কিন্তু আপনার পায়ে হাঁটার গতির চেয়ে বেশি নয়। তবে যদি আপনি বসে বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছাতে পারেন তাহলে আর হাঁটার দরকার কী? কম্বোডিয়া ভ্রমণকালে খুবই মজার একটি অভিজ্ঞতা হচ্ছে এই নরি। ট্রেনটি হচ্ছে চাকার ঠিক ওপরে বাঁশের তৈরি একটি কাঠামোমাত্র।
পার্টি বাইক, নেদারল্যান্ডস
পার্টি বাইকে চড়ে আপনি একাধিক পানীয়ের স্বাদ উপভোগ করার পাশাপাশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে পুরো শহর ঘুরে বেড়াতে পারবেন। পার্টি বাইক নেদারল্যান্ডেই প্রথম চালু হয়। এরপর বিশ্বের অন্যান্য স্থান যেমন-বাহামাস, জার্মানি, নিউজিল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
সিরিজ-আইল্যান্ড রোভারস, দার্জিলিং, ভারত
ল্যান্ড রোভারকে ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখেছেন কখনো? মানেভানজিইয়াং-সান্দাকফু এলাকা যখন ভ্রমণ করবেন তখন দেখবেন ঐতিহাসিক ল্যান্ড রোভারগুলো দুর্গম ভূ-খণ্ডের ওপর দিয়ে এখনো চলছে অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতেই।
বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে ব্রিটিশ চা-বাগান মালিকরা ল্যান্ড রোভারের প্রথম মডেলটি ভারতবর্ষে চালু করেন। তারা মানুষকে বুঝাতে পেরেছিলেন যে, এই বাহনগুলো স্থানীয় বাহনের তুলনায় দার্জিলিংয়ের আাঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার জন্য তুলনামূলক বেশি নির্ভরযোগ্য।
ব্রিটিশরা তো উপমহাদেশ থেকে চলে গেছে অনেক আগেই কিন্তু রয়ে গেছে সেই আলোচিত ল্যান্ড রোভারগুলো। আর এরকম আইকনিক বাহন এখন ভারতে খুব কমই আছে।
হর্স অ্যান্ড বাগি রাইডস, যুক্তরাষ্ট্র
সার্কিন অ্যামিশ সম্প্রদায় বিশ্বাস করে খুব সাদামাটা ও আড়ম্বড়হীন জীবনযাপনে। তাদের জীবন বাকি বিশ্ববাসীর থেকে আলাদা। আর এ কারণেই আশেপাশে অটোমোবাইলের ছড়াছড়ি সত্ত্বেও তাদের পছন্দের পরিবহন মাধ্যম এখন পর্যন্ত হর্স অ্যান্ড বাগি রাইডস।
অ্যামিশদের এই জীবনযাপনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে পেনসিলভেনিয়া, ওহিও ও ইন্ডিয়ানার মতো জায়গাগুলোতে।
মকোরো, বোতসোয়ানা
বোতসোয়ায়ানা ভ্রমণে যদি আপনার সফরসূচিতে ওকোভাঙ্গো ডেল্টা ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক থাকে তাহলে আপনি মকোরো বোটে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। গাছের গুঁড়ি কেটে বানানো মকোরোগুলো ক্যানোস ডিজাইনে তৈরি।
যদি আপনি প্রত্যন্ত এলাকা ডেল্টার সৌন্দর্য আবিষ্কার করতে চান তাহলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আভ্যন্তরীণ জলাভূমি ডেল্টায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো মকোরো।
করাকল
দক্ষিণ ভারতীয় ভ্রমণ গন্তব্য হাম্পি, হগেনাক্কাল, কইম্বাটোর প্রভৃতি জায়গা ভ্রমণ করলে আপনি বিপুল পরিমাণ ঐতিহ্যবাহী গোলাকৃতি বাস্কেট বোট দেখতে পাবেন। তবে হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন স্থানে এই আদিম বোটটি দেখা যায়।
এমনকি বর্তমান আধুনিক যুগেও ঐতিহ্যবাহী এই বাস্কেট বোট ব্যবহৃত হয় ওয়েলস, আয়ারল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ভারতে।
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও ভ্রমণ লেখক।
জেএমএস/এএসএম
বর্ষায় প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার আমাজনে’

বর্ষায় সিলেট ভ্রমণের কথা ভাবলেই প্রথমেই সবার মনে পড়ে রাতারগুলের নাম। ‘বাংলার আমাজন’ নামে পরিচিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের রাতারগুলের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায় বর্ষায়।
রাতারগুল দেশের একমাত্র ‘ফ্রেশওয়াটার সোয়াম্প ফরেস্ট’ বা জলাবন। দেশের একমাত্র স্বীকৃত এই সোয়াম্প ফরেস্টের দূরত্ব সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে এই জলাবনের অবস্থান।
জানা যায়, পুরো পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। তার মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে আছে এর দুটি, একটি শ্রীলংকায়, বাংলাদেশের রাতারগুলে একটি।
পর্যটকদের মতে, অনিন্দ্যসুন্দর বিশাল এ বনের সঙ্গে তুলনা চলে একমাত্র আমাজনের। আর এ কারণেই বাংলার আমাজন হিসেবে বিশেষ পরিচিত এই রাতারগুল।
রেইন ফরেস্ট নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের স্বাদুপানির সবচেয়ে বড় সোয়াম্প বন কিন্তু আমাজনই। ঠিক আমাজন সোয়াম্পের মতোই স্বাদুপানির বন দেশের এই রাতারগুল।
সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটিগাছ ‘রাতাগাছ’ নামে পরিচিত। সেই মুর্তা অথবা রাতাগাছের নামানুসারে এই বনের নাম হয়েছে রাতারগুল।
আমাজনের মতোই গাছগাছালির বেশিরভাগ অংশই বছরে ৪-৭ মাস থাকে পানির নিচে। বর্ষা মৌসুমেই শুধু সেখানে পানির দেখা মেলে। শীতকালে অবশ্য সেটা হয়ে যায় আর দশটা বনের মতোই, পাতা ঝরা শুষ্ক ডাঙা।
আর এ কারণেই বর্ষাই হলো রাতারগুল ভ্রমণের সেরা সময়। এ সশয় সেখানে গেলে দেখবেন কোনো গাছের কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে পানিতে। একটু ছোট যেগুলো, সেগুলো আবার শরীরের অর্ধেকই ডুবিয়ে আছে জলে।
কোথাও চোখে পড়বে মাছ ধরার জাল পেতেছে জেলেরা। ঘন হয়ে জন্মানো গাছপালার কারণে কেমন যেন অন্ধকার লাগবে পুরো বনটা। মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা আটকে দেবে পথ।
বর্ষায় এ বনে চলতে হয় খুব সাবধানে। কারণ রাতারগুল হচ্ছে সাপের আখড়া। বর্ষায় পানি বাড়ায় সাপেরা ঠাঁই নেয় গাছের ওপর। তাই সৌভাগ্য হলে বেশ কিছু সাপের সঙ্গে দেখাও হয়ে যেতে পারে।
বনবিভাগের তথ্যমতে, এই বনের আয়তন ৩ হাজার ৩২৫ দশমিক ৬১ একর। এর মধ্যে ৫০৪ একর বন ১৯৭৩ সালে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। বিশাল এ বনে আছে জলসহিষ্ণু প্রায় ২৫ প্রজাতির উদ্ভিদ।
সেখানে মূলত প্রাকৃতিক বন হলেও বেত, কদম, হিজল, মুর্তাসহ নানা জাতের পানি সহিষ্ণু গাছ লাগিয়েছে বন বিভাগ। রাতারগুল বনে সাপের মধ্যে গুইসাপ, জলঢোড়া ছাড়াও আছে গোখরাসহ বিষাক্ত অনেক প্রজাতি। বর্ষায় বনের ভেতর পানি ঢুকলে এসব সাপ উঠে পড়ে গাছের ওপর।
পাখিদের মধ্যে আছে সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল ও বাজ। শীতে মাঝেমধ্যে আসে বিশালকায় সব শকুন। আর লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে ঘাঁটি গাড়ে বালিহাঁসসহ হরেক জাতের পাখি।
বর্ষায় হাওরের স্বচ্ছ পানির নিচে ডুবে থাকা গাছগুলোর সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হবেনই। মনে হবে যেন কোনো কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াচ্ছেন।
গোয়াইন নদী দিয়ে রাতারগুল যাওয়ার অসাধারণ সুন্দর পথ ধরে নৌকায় ভেসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া নদীর চারপাশের দৃশ্যের সঙ্গে দেখবেন দূরে ভারতের মিজোরামের উঁচু সবুজ পাহাড়।
কীভাবে যাবেন রাতারগুল?
রাতারগুল যাওয়া যায় বেশ কয়েকটি পথে। তবে যেভাবেই যান, যেতে হবে সিলেট থেকেই। দেশের যে কোনো স্থান থেকে প্রথমে যান সিলেট। সেখান থেকে আম্বরখানা পয়েন্টে পৌঁছে সিএনজি নিয়ে গোয়াইনঘাট পৌঁছাতে হবে। ভাড়া পড়বে ৫০০-৮০০ টাকার মধ্যেই।
ওসমানী এয়ারপোর্ট থেকে শালুটিকর হয়ে যাওয়া এই রাস্তাটা বর্ষাকালে খুবই সুন্দর। এরপর একইভাবে গোয়াইনঘাট থেকে রাতারগুল বিট অফিসে আসবার জন্য ট্রলার ভাড়া করতে হবে, ভাড়া পড়বে ৮০০-১৫০০ টাকার মধ্যে (আসা-যাওয়া)।
আর সময় লাগে ২ ঘণ্টা। বিট অফিসে নেমে ডিঙি নৌকা নিয়ে বনে ঢুকতে হবে, এতে মাঝি ঘণ্টাপ্রতি নেবে ২০০-৩০০ টাকা।
আরও এক উপায়ে আপনি পৌঁছাতে পারেন রাতারগুল। এজন্য সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে মোটরঘাট (সাহেব বাজার হয়ে) পৌঁছাতে হবে। ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। আর সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক।
এরপর মোটরঘাট থেকে সরাসরি ডিঙি নৌকা নিয়ে বনে চলে যাওয়া যায়। এতে ঘণ্টাপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা লাগবে। এই পথটিই বেশ জনপ্রিয়। কারণ এতে সময় ও খরচ সবচেয়ে কম।
জেএমএস/জেআইএম
এ কেমন রীতি জাপানিদের?

জাপান হলো পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব কোণে ৬ হাজার ৮০০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে জাপান। জাপানিরা বেশ শান্ত প্রকৃতির হয়। তারা লাজুকও বটে!
তবে সহজেই অন্যদের সঙ্গে মনখুলে মিশতে পারেন জাপানিরা। আতিথিয়তার দিক দিয়েও তারা সেরা। জাপানিদের সংস্কৃতিতেও আছে ভিন্নতা। তার মধ্যে অন্যতম হলো জনসম্মুখে বিবস্ত্র গোসল সংস্কৃতি।
জাপানিদের সবচেয়ে অদ্ভুত এক রীতি হলো পাবলিক বাথ। পুরো জাপানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাবলিক বাথ। জাপানিজ ভাষায় পাবলিক বাথের স্থানকে বলা হয় সেন্টু।
এর ভেতরে সবাই বিবস্ত্র থাকেন। এটাই নাকি তাদের রীতি। গোসলরত অবস্থায় কেউ কাউকে দেখে যদি ভুলেও হেসে ফেলেন, তাহলে তাকে অভদ্র ভাবা হয়।
সেন্টুতে একসঙ্গে ১৫-২০ জন গোসল করতে পারেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি লজ্জা পান তাহলে তিনি তোয়ালে পরতে পারেন। তবে কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না, আপনি লজ্জা পাচ্ছেন। জানলে বাকিরাও লজ্জা পাবেন।
যেহেতু জাপান শীতপ্রধান দেশ তাই পুলের পানি থাকে বেশ গরম। একটি পুলের পানি একেবারেই জিরো ডিগ্রি, আর অন্যটি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার। খুব গরম লাগলে ঠান্ডা পানিতে নামেন অনেকেই। এছাড়া সেখানে একটি বাথে থাকে রেড ওয়াইন। চাইলে ওয়াইন পুলেও নামতে পারেন যে কেউই।
সেন্টুতে যতক্ষণ খুশি গোসল করা যাবে। বিল ৫৫০ ইয়েন। সান্টুর ভেতর দেয়ালের গা ঘেঁষে আছে অ্যাকুয়ারিয়াম। যেখানে অসংখ্য রঙিন মাছ সাতার কাটছে মনের আনন্দে। জাপানে সব সেন্টুতেই বাগান থাকে। কাঁচের দেয়াল দিয়ে গোসলের সময় বাগান দেখা যায়।
জাপানে পাবলিক বাথের সংস্কৃতি অনেক পুরোনো হলেও আজও জনপ্রিয়। প্রথম দিকে বুদ্ধিস্ট-মঙ্করা পবিত্র হওয়ার জন্য এভাবে গোসল করতো। ১৯০০ সাল পর্যন্ত নারী-পুরুষ একসঙ্গে সেন্টুতে গোসলের অনুমতি ছিল। তবে এখন তা নিষিদ্ধ।
জাপানের প্রতি শহরেই আছে সেন্টু! জানা যায়, পুরো জাপানে প্রায় ১৮০০টি সেন্টু আছে। আধুনিক বাড়ি ও হোটেলগুলোতে সেন্টু বানানোর কারণে ঐতিহ্যবাহী সেন্টুর সংখ্যা কমছে।
মানুষ বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা আগের মতো সেন্টুতে যেতে চায় না। প্রাইভেসি রক্ষা করে চলে। তবে অনেক পরিবারের সদস্যরা মাসে অন্তত একবার হলেও সেন্টুতে যান।
সূত্র: জাপান.ট্রাভেল
জেএমএস/এএসএম
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘কে২’ যেন এক মৃত্যুফাঁদ

মাউন্ট এভারেস্টের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো কে২। এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করা সহজ কোনো বিষয় নয়। যুগ যুগ ধরে অনেক পর্বতারোহীই কে২তে আরোহণ করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন, আবার অনেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন।
অত্যন্ত দুর্গম হওয়ায় এটি জংলী পর্বত নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের পর উচ্চতায় ৮ হাজার পর্বতশৃঙ্গগুলোতে আরোহণ প্রচেষ্টায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে কে২ এর অবস্থান দ্বিতীয়। এর চূড়ায় আরোহণকারী প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছে।
সম্প্রতি এই পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পা রাখেন এভারেস্ট বিজয়ী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন। গত ১৭ জুলাই রাতে কে২’র চূড়ায় ওঠার জন্য যাত্রা শুরু করেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী।
২২ জুলাই ওয়াসফিয়া নাজরীনের সঙ্গে কে২ জয় করেছেন ইরানি আফসানেহ হেসামিফার্ড, লেবানিজ-সৌদি নাগরিক নেলি আত্তার ও পাকিস্তানের নাগরিক সামিনা বেগ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী হিসেবে কে২ জয় করেছেন।
কে২’র অবস্থান ও উচ্চতা
কে২ কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর অংশ, যা পাকিস্তান-চীন সীমান্তে বিস্তৃত। পর্বতটি উত্তর পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের বালতিস্তান ও চীনের জিনজিয়াং রাজ্যের ট্যাক্সকোরগান তাজিকের দফদার টাউনশিপের মধ্যে অবস্থিত।
কে২ হলো কারাকোরাম পর্বতশ্রেণীর সর্বোচ্চ বিন্দু। পাকিস্তান ও জিনজিয়াং উভয়েরই সর্বোচ্চ বিন্দু পর্বতটি। কারাকোরাম রেঞ্জটি চীন, ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা জুড়ে ৩০০ মাইল বিস্তৃত, যার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তটি আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে উচ্চতায় ২০০ মিটার ছোট হলো কে২। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া। একে ‘স্যাভেজ পর্বত’ও বলা হয়।
বিশ্বের মাত্র ১৪টি পর্বতমালার মধ্যে কে২ একটি, যেটির উচ্চতা ৮ হাজার মিটারেরও বেশি। কে২ এর উচ্চতা হলো ৮ হাজার ৬১১ মিটার। অন্যদিকে এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৯ মিটার।
যেন এক মৃত্যুফাঁদ!
মার্কিন পর্বতারোহী জর্জ বেল ১৯৫৩ সালে পর্বত চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তিনি জানান, মনে হবে পর্বতশৃঙ্গ আপনাকে হত্যার চেষ্টা করছে। কারণ সেখানকার পরিবেশ ও আবহাওয়া মৃত্যুঝুঁক বাড়িয়ে দেয়।
কে২ পর্বতশৃঙ্গের সবচেয়ে কুখ্যাত স্থান হলো ‘বাটলনেক’ বা বরফপ্রপাত। ২০০৮ সালে এক তুষারধসে ‘বাটলনেকে’ ১১ জন পর্বতারোহী নিহত হন।
২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি এক স্প্যানিশ পর্বতারোহী পর্বত থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে মারা যান। বুঝতেই পারছেন কে২ পর্বতশৃঙ্গ যেন এক মৃত্যুফাঁদ। পর্বতারোহীদের মতে, কে২ শীতকালে আরোহণের জন্য সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
আবহাওয়ার নিষ্ঠুরতারন কারণেই বেশিরভাগ মানুষ কে২ পর্বতশৃঙ্গে ওঠার সাহস করেন না। সেখানে তুষারপাত ও ঝড় ঘন ঘন হয়। যা পর্বতে ওঠার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কে২ তে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০ শতাংশ।
শুরুর দিকের অভিযানসমূহ
কে২ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের প্রথম প্রচেষ্টা করেন একটি অ্যাংলো-সুইস অভিযাত্রী দল ১৯০২ সালে। তারা শৃঙ্গের উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর ১৮ হাজার ৬০০ ফুট (৫ হাজার ৬৭০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন।
১৯০৯ সালে লুইগি আমেদিও, ডিউক অব আবুরাজ্জির নেতৃত্বে শৃঙ্গের দক্ষিণ-পূর্ব ধার বরাবর (যেটি পরে আবুরাজ্জি রিজ নামে পরিচিত হয়) একটি ইতালিয় অভিযান ও তারা প্রায় ২০ হাজার ফুট (৬ হাজার ১০০ মিটার) উচ্চতা পর্যন্ত আরোহণে সমর্থ হন। এছাড়া আরও অনেকেই জয় করেছেন বিশ্বের দ্বিতীয় এই সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
জেএমএস/জিকেএস