কুইজ খেলেই জিতে নিন প্লেনের টিকিট

‘ফ্লাই এয়ার বিডি-জাগো নিউজ কুইজ প্রতিযোগিতা’য় অংশগ্রহণ করে খুব সহজেই জিততে পারেন প্লেনের টিকিট।
চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কুইজ প্রতিযোগিতা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন ৫টি করে মোট ১৩৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একজন প্রতিযোগী প্রতিদিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ উত্তরদাতা তিনজনকে নির্বাচিত করা হবে। এই তিনজনের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে।
সর্বোচ্চ উত্তরদাতা তিনজনের বেশি হলে কিংবা একই নম্বরে কয়েকজন অবস্থান করলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। বিজয়ীদের ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্লাই এয়ার বিডির পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজয়ীদের সঙ্গে ই-মেইল ও মোবাইলে যোগাযোগ করা হবে। তাদের তালিকা jagonews24.com ও ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর সচল থাকা আবশ্যক।
বিজ্ঞাপন
কুইজ প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী-
>> বাংলাদেশি যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
>> প্রত্যেক প্রতিযোগীকে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে একবারই নিবন্ধন করা যাবে।
বিজ্ঞাপন
>> জাগো নিউজ ও উক্ত আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না।
‘ফ্লাই এয়ার বিডি-জাগো নিউজ কুইজ প্রতিযাগিতায়’ অংশ নিতে এখানে ক্লিক করুন।
জেএমএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মেট্রোরেলে যাত্রার ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা

তানজিদ শুভ্র
মেট্রোরেল আমাদের অর্জনের গল্প। গত ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনের পর ২৯ ডিসেম্বর যখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়, তখনই বাঙালির উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে।
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়া এই পরিসেবা জনদুর্ভোগ অনেকাংশেই কমিয়েছে। পথটুকু পাড়ি দিতে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিটের মতো। টেলিভিশন, পত্র পত্রিকা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় মেট্রোরেলের গল্প বেশ জায়গা করে নিয়েছে।
শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি প্রথম প্রহর থেকে মন মেজাজ ফুরফুরে ছিল। সকালে হুট করে বড় ভাইয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য বের হলাম। ছুটির দিনের ভ্রমণই বটে।
প্রকৃতপক্ষে আগারগাঁও কোনো কাজ ছিল না। মেট্রোতে চড়ে ঘুরে আসাই উদ্দেশ্য আমার। আর ভাইয়ার গন্তব্য ভিন্ন থাকায় আমার সঙ্গে গিয়ে আগারগাঁও থেকে অন্যদিকে যাওয়া ছিল তার পরিকল্পনা।
রিকশায় উত্তরা উত্তর স্টেশনে নামলাম। লম্বা লাইন। অপেক্ষা করলাম সেখানে দাঁড়িয়ে। আস্তে আস্তে প্রবেশ করলাম টিকিট কাউন্টারে। সেখানেও লাইন। দাঁড়িয়ে রইলাম।
ম্যানুয়ালি টিকেট কাটার কাউন্টারে তুলনামূলক টিকেট প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। আমিও সে লাইনে অপেক্ষারত। ১২০ টাকা দিয়ে উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত দুটো টিকেট কিনলাম।
এরপর স্কাউট সদস্যদের আন্তরিক সহায়তায় প্লাটফর্মে এন্ট্রি করি। ট্রেন তখন যাত্রীদের অপেক্ষায় ছিল। উঠে এক ফাঁকা আসনে বসতে গিয়ে থমকে গেলাম। পাশের যাত্রী বললেন অন্য একজনের জন্য জায়গা রেখেছেন।
এবার সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় আরেক সিটে বসা দু’জন দাঁড়িয়ে ভাইয়াকে ‘স্যার’ সম্বোধন করেই বসতে দিল। অল্প সময় বসে ছিলাম, সবার মতো আমরাও ছবি তুলাম।
গল্প করতে করতেই মাঝখানের স্টেশনগুলো পাড় করে আগারগাঁও পৌঁছে গেল মেট্রোরেল। প্রথম দফায় যাত্রা শেষ হলো এখানেই। ভাইয়া তার ভিন্ন গন্তব্যে চলে গেল। আমি আবারো টিকেট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ালাম, উদ্দেশ্য উত্তরায় ফেরা।
অল্প কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যখন সিরিয়াল পেলাম, ১০০ টাকার নোট দিয়ে বিপদে পড়লাম। ভাঙতি না দেওয়াই টিকিট দিতে অপরাগ তারা। কী আর করার পাশের জনকে বললাম ভাঙতি থাকলে দিতে।
কুমিল্লা থেকে আসা ওই ভদ্রলোকের থেকে ভাঙতি নিয়ে আমার টিকেট সংগ্রহ করলাম। অনেকটা দ্রুতই প্লাটফর্মে প্রবেশ করলাম, কারণ সময় আমাকে তাড়া করছিল।
এবার মেট্রোরেলে ঢুকে বসলাম না। দাঁড়িয়ে রইলাম, হাঁটলাম। দু’একটি ছবিও তুলছিলাম। চারজন কিশোর বন্ধুবান্ধব উঠছে পাশেই। তারা একজন আরেকজনের ছবি তুলে দিচ্ছিলো, আবার ভিডিও কলে অন্য বন্ধুদের দেখাচ্ছিল।
আমিও ভিডিও কল দিয়ে আমার বড় ভাইকে নিশ্চিত করি, ফিরতি ট্রেনের টিকিট পেয়ে ট্রেনে উঠতে পেরেছি। পরে ওই কিশোরদের একজনকে বললাম আমারও দু’একটা ছবি তুলে দিতে। তুলেও দিল, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
অল্প সময়েই আবারো উত্তরা উত্তর স্টেশনে এসে ট্রেন থামলো। ওই পাশ থেকে আসা অনেকেই ভেবেছিল আবার টিকিট কেটে মেট্রোরেলেই ফেরত যাবে। তবে তখন সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল টিকিট কাটার।
কিছুক্ষণ পায়চারি করে আমি স্টেশন থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে চলে আসলাম। প্রথম দিনের দ্বিতীয়বারের যাত্রা এভাবেই শেষ হয়। দিনটি ভালো কেটেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দিয়াবাড়ি ঘুরতে গিয়ে মেট্রোরেল স্টেশনে আশপাশে থেকে রিকশা করে ঘুরেছিলাম, তখনো স্বপ্ন ছিল মেট্রোরেল নিয়ে। এখন মেট্রোরেল যাত্রার স্বপ্ন বাস্তবে। মেট্রোরেলের মতো অর্জনের গল্প জমা হোক আমাদের জীবনের খাতায়।
লেখক: শিক্ষার্থী ও ফিচার লেখক।
জেএমএস/এমএস/এএসএম
২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট কোনটি?

পাসপোর্ট ছাড়া একদেশ থেকে অন্যদেশ ভ্রমণের সুযোগ নেই। পাসপোর্ট এক ধরনের ভ্রমণ নথি, যা সাধারণত এক দেশের সরকারকর্তৃক জারি করা হয়।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় বাহকের জাতীয়তা ও পরিচয় প্রত্যয়িত করে একটি পাসপোর্ট। এই ভ্রমণ নথিতে বাহকের নাম, জন্মের তারিখ ও স্থান, ছবি, স্বাক্ষরসহ অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য থাকে।
আরও পড়ুন > ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
বিশ্বের সব দেশেরই নিজ নিজ পাসপোর্ট আছে। তবে কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট এতোটাই শক্তিশালী যে, ওইসব দেশের পাসপোর্টধারীরা চাইলে বিশ্বের শত শত দেশ ভ্রমণের অনুমতি পাবেন তাও আবার ভিসা জটিলতা ছাড়াই।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক আইটিএ থেকে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে জানা যায়, মূলত ভিসার প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতেই পাসপোর্ট র্যাংকিং করা হয়।
আরও পড়ুন > একাই ১০০ দেশ ঘুরলেন ভ্রমণকন্যা মালিহা, ঘুরতে চান পুরো বিশ্ব
যে পাসপোর্ট তার ধারককে অন্য দেশে ভিসা-মুক্ত/ ভিসা-অন-অ্যারাইভালসহ, ভিজিটর পারমিট’সহ ইত্যাদি সুবিধা বেশি দেয়, সেসব পাসপোর্টকে শক্তিশালী বলে বিবেচনা করা হয়।
গত বছরের মতো এ বছরের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষে আছে জাপান। আপনার কাছে জাপানের পাসপোর্ট থাকলে খুব সহজেই ১৯৩ দেশে ঝামেলামুক্তভাবে প্রবেশ করতে পারবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় সিঙ্গাপুর আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা ১৯২ দেশে সহজেই প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
আরও পড়ুন > আমেরিকা নয়, ভারত গিয়েই ঘুরে আসুন ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে’
হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৩ অনুসারে, সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থানও দ্বিতীয় স্থানে। ১৯২ দেশে সহজেই প্রবেশাধিকার মিলবে দক্ষিণ কোরিয়ানদের।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছে জার্মানি। ১৯০ দেশে সহজেই প্রবেশ মিলবে জার্মানির পাসপোর্ট আপনার কাছে থাকলে।
জার্মানির সঙ্গে স্পেনও আছে তালিকার তৃতীয়তে। স্পেনের পাসপোর্টধারীরাও ১৯০ দেশে সহজেই ঘুরতে পারবেন।
আরও পড়ুন > থাইল্যান্ড ভ্রমণে যে ভুল করলেই বিপদে পড়বেন
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে আছে ফিনল্যান্ডের পাসপোর্ট। ১৮৯ দেশে সহজে প্রবেশের সুযোগ মিলবে ফিনল্যান্ডের পাসপোর্ট হাতে থাকলে।
একইভাবে ইতালীর পাসপোর্টধারীরাও ১৮৯ দেশে সহজে প্রবেশের অনুমতি পান। র্যাংকিংয়ে ফিনল্যান্ডের পাশাপাশি যুগ্মভাবে ৪ নম্বরে আছে ইতালী।
একই সঙ্গে লুক্সেমবার্গও তাদের শক্তিশালী পাসপোর্টের জন্য তালিকার চতুর্থ অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। লুক্সেমবার্গের পাসপোর্ট সঙ্গে থাকলে আপনি ১৮৯ দেশ খুব সহজে প্রবেশাধিকার দেয়।
আরও পড়ুন > বিশ্বের এই রহস্যময় ৬ স্থানে ঘুরে আসুন সুযোগ পেলেই
অস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট আছে তালিকার ৫ নম্বরে। এর পাসপোর্টধারীরা ভিসা জটিলতা ছাড়াই ১৮৮ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। অস্ট্রিয়ার পাশাপাশি ডেনমার্কের পাসপোর্টও ১৮৮ দেশ সহজ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দেয়।
নেদারল্যান্ডস অর্থাৎ আপনার কাছে যদি ডাচ পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনি সহজেই বিশ্বের ১৮৮ দেশে সহজেই প্রবেশ করতে পারবেন।
অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকার ৫ম অবস্থানে আরও একটি দেশ আছে। সেটি হলো সুইডেন।
আরও পড়ুন > ভারত গিয়েই যেভাবে ঘুরে আসবেন ‘প্যারিস’!
হেনলি পাসপোর্ট সূচকে সুইডেন ৫ নম্বরে আছে। এর পাসপোর্ট ধারকরা ১৮৮টি দেশে ঝামেলামুক্তভাবে প্রবেশের অধিকার দেয়।
তালিকার ৬ নম্বরে আছে ফ্রান্সের নাম। এই দেশের পাসপোর্ট ধারক হলে আপনি ঝামেলাহীনভাবে ১৮৭ দেশে যাওয়ার ভিসা পাবেন। একইভাবে আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ পাসপোর্টও আপনাকে ১৮৭ দেশ ভ্রমণের নিশ্চয়তা দেয়।
বেলজিয়াম পাসপোর্ট সূচকে ৭ম অবস্থানে আছে। ১৮৬ দেশে সহজেই ভিসা পাবেন যদি আপনি বেলজিয়ামের পাসপোর্টধারী হন। একই সঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্রের পাসপোর্টের সাহায্যে আপনি ১৮৬ দেশে সহজেই প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জিকেএস
বেলকুচি উপজেলা চত্বর যেন একটা মিনি পার্ক

বেশ কিছু দিন আগে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় গিয়েছিলাম বাংলাদেশ বেতারের একটা অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে। সবাই ঠিক সময়ে পৌছে গেলেও আমার পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।
তাই উপজেলা চত্বরে অপেক্ষা করছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর ভাই, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক সজীব দাদা ও মাইটিভির প্রতিনিধি লতিফ ভাই। আমি গাড়ি থেকে নেমেই সরাসরি চলে গেলাম তাদের কাছে।
উপজেলা চত্ত্বরের গোল ঘরে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। একই সঙ্গে খেলাম পেয়ারা মাখানো। এরপর আনিস ভাই পুরো উপজেলা চত্বর ঘুরে দেখালেন।
আমি অনেক উপজেলা ঘুরেছি তবে আমার জীবনে এমন সুসজ্জিত সুন্দর উপজেলা কখনো দেখিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান জানান, তিনি নিজে বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে উপজেলা সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছেন।
বেলকুচি উপজেলা তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এখানের অধিকাংশ জায়গায় নলকূপ থেকে রং মিশ্রিত পানি বের হয়। তাই তিনি প্রথমেই উপজেলার নাগরিকদের কথা চিন্তা করে সুপেয় পানির জন্য বসিয়েছেন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। যেখান থেকে বিনামূল্যে খাবারের পানি সংগ্রহ করে স্থানীয়রা।
এছাড়া ভবনের চারদিকের দেওয়ালে চমৎকার ভাবে টেরাকোটার (পোড়া মাটির ফলক) মাধ্যমে ফুটে তোলা হয়েছে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আবহমান বাংলার গ্রামীণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
পুরো উপজেলার চারপাশসহ মাঝের হাঁটার রাস্তাগুলো বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে সাজানো। শাপলা চত্ত্বর, পানির ফোয়ারা, বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য ব্রেঞ্চ, বেডমিন্টন কোর্ট, মুক্তমঞ্ছ, বৈশাখী মঞ্চসহ নানাভাবে নিজ পরিকল্পনায় উপজেলাটি সাজিয়েছেন ইউএনও আনিসুর রহমান।
অন্যনা উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরের চেয়ে এই উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরটা আলাদা। এখানেও ফুল ও লাইটিং দিয়ে জমকালো করে তোলা হয়েছে। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও করা হয়েছে আলাদা ও ভিন্নভাবে।
বেলকুচির শাহ আলম (৬০) নামে এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা দেখেছি কয়েক বছর আগে এই উপজেলা পরিষদ চত্বরে পানি জমে থাকতো। খুবই নিচু ছিল।’
‘বর্ষাকালে তো হাটারই উপায় ছিলো না। আনিস স্যার আসার পরে তিনি নিজে এই উপজেলা তার মনের মতো করে সাজিয়েছেন। অনেকেই এখন ঘুরতে আসেন এই উপজেলায়।’
উপজেলা চত্বরে শিশুর নির্মল বিনোদনের জন্য এক পার্শ্বে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুপার্ক। বিভিন্ন ফুল-ফলের প্রতিকৃতি, ট্রি হাউজ, দোলনা, ঢেঁকি, বসার জায়গা, পদ্মসেতুর প্রতিকৃতি, সেলফি কর্নারসহ নানা রকম সুন্দর স্থাপনা দিয়ে সুসজ্জিত।
উপজেলা পরিষদে আনন্দমুখর সময় কাটাতে ও অবসর সময় ঘুরতে অনেক মানুষজন আসেন। শুধু উপজেলাই না বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে দেখে যায় উপজেলা চত্বরটি। দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে উপজেলা চত্বরেই দেওয়া হয়েছে একটি কফি শপ।
উপজেলা চত্বরে ঘুরতে আসা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা কয়েকজন বান্ধবী মিলে শাড়ি পড়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।’
‘আমাদের উপজেলায় তেমন ঘোরার কোনো জায়গা নেই। তাই আমরা এই চত্বরেই সময় কাটাই। আমার মতো আরও অনেকেই অবসর সময়ে এখানে ঘুরতে আসেন।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বরাদ্ধ থেকে এ উপজেলা সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করে যাচ্ছি। আমি প্রথমে এসে খুবই শোচনীয় অবস্থায় এই উপজেলা চত্বরটি পাই।’
‘এরপর আমার একান্ত প্রচেষ্টায় আজকের এই উপজেলা চত্বর। দেখতেই তো পাচ্ছেন কেমন করা হয়েছে! এই উপজেলা চত্বর ঘুরে ছেলে-মেয়েরা যেনো কিছু শিখতে পারে। শিক্ষনীয় বিষয় মাথায় রেখেই সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেছি।’
সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম-সচিব) ড ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদ ঘুরে দেখেছি। এখানকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে কাজটি করেছেন তা সত্যিই অনেক প্রশংসনীয়। আমি বিভিন্ন সময় এসে কাজের তদারকী করেছি।’
তিনদিন ছিলাম এই উপজেলায়। উপজেলা চত্বরটি ঘুরে অনেক ভালো লেগেছে। আর আনিস ভাইয়ের আতিথিয়েতা ভোলার মতো না। আপনারা চাইলেই এই উপজেলা চত্বর ঘুরে আসতে পারেন।
লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
জেএমএস/জিকেএস
বিশ্বের যে স্থানে গেলে দেখবেন প্রাকৃতিক চৌম্বক শক্তি

পৃথিবীতে এমন অনেক আশ্চর্যজনক স্থান আছে। তেমনই কিছু স্থানকে মানুষ অলৌকিক স্থান বলেই মানেন। এর অন্যতম কারণ হলো এসব স্থান পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত।
পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান আছে যেখানে ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায় অনেক বেশি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন স্থানে বিশ্বের ভূ-চৌম্বকীয় শক্তি সবচেয়ে বেশি কাজ করে।
সার্বিয়া
এই দেশ এমন একটি স্থানে যেখানে পৃথিবীর ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সবচেয়ে শক্তিশালী। বলকান ও প্যানোনিয়ান বেসিনের কাছাকাছি অবস্থিত এই ইউরোপীয় দেশ যেমন সুন্দর তেমনই শীতল। এছাড়া উত্তর মেরুর নিকটবর্তী হওয়ার কারণেই হয়তো সেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র বিরাজমান।
উত্তরাখন্ডের কাসার দেবী মন্দির
ভারতেও এমন একটি জায়গা আছে যেখানে পৃথিবীর ভূ-চৌম্বকীয় শক্তি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী। সেখানে কিছু অনন্য ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন আছে। এই জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হলো উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন অঞ্চল।
লাদাখের ম্যাগনেটিক হিল
লাদাখের ম্যাগনেটিক হিলের সৌন্দর্য দর্শনে হাজারো মানুষ ভিড় জমায় সেখানে। এই পর্বতের পাশে রাস্তায় পার্ক করা যানবাহন কিন্তু ভূমির আকর্ষণের বাধা পেরিয়ে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে।
বিশেসজ্ঞদের মতে, এটি শুধু একটি চোখের ভ্রম। রাস্তার লে আউট দেখে মনে হতে পারে এমনটা অর্থাৎ যানবাহন উপরে যাচ্ছে। তবে আসলে রাস্তা নিচের দিকেই যায়।
পেরুর মাচু পিচু
আর একটি আকর্ষণীয় জায়গা যেখানে ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী তা হল পেরুর পাহাড়। এই মাচু পিচু পাহাড়ের উপরে একটি দুর্গও নির্মিত হয়েছে। এই জায়গাটাও ম্যাগনেটিক।
ইউনাইটেড কিংডম স্টোনহেঞ্জ
সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্টোনহেঞ্জ সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য স্মৃতিস্তম্ভগুলোর মধ্যে একটি। নৃ-তত্ত্ববিদরা এখনো এর প্রকৃতি, উৎস ও উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। কাঠামোটি রহস্যে আবৃত ও মজার বিষয় হলো, এটির সবচেয়ে শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র আছে।
মেরু অঞ্চলের ধ্রুব
উত্তর ও দক্ষিণ মেরু উভয়ই এমন জায়গা যেখানে ভূ-চৌম্বকীয় শক্তি শক্তিশালী। এটি সেই কেন্দ্র যেখান থেকে পৃথিবীর ভূ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সঞ্চালিত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ মেরু এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংযুক্ত।
জেএমএস/জিকেএস
সিকিম ভ্রমণে কত খরচ, কী কী দেখবেন ও কোথায় থাকবেন?

সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য। এটি জনপ্রিয় একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাত। সিকিমের রাজধানী শহরের নাম গ্যাংটক। সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে, আর এ কারণে পর্যটকরা ভিড় করেন সিকিমে।
ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার বাস সিকিমে। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন ও উপক্রান্তীয় জলবায়ুসহ সেখানকার জীব বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত সিকিম।
কম খরচে মেঘালয় ভ্রমণে কোথায় থাকবেন ও কী কী দেখবেন?
এখানেই অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত। ভারতের সর্বোচ্চ ও পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এটি। বর্তমানে অনেকেই ভিড় করছেন সিকিমে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি দেশের পর্যটকরাও সিকিমের অন্যন্য রূপ দর্শনে নিয়মিত সিকিম ভ্রমণে যাচ্ছেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সিকিম ভ্রমণের খরচ কত কিংবা সেখানে গেলে কোন কোন স্থান ঘুরে দেখবেন।
এছাড়া থাকা-খাওয়ার বিষয় সম্পর্কেও ভালোভাবে ধারণা নিয়ে তবেই সেখানে যাওয়া উচিত, না হলে সমস্যায় পড়তে পারেন সেখানে গিয়ে। চলুন তবে সিকিম ভ্রমণ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক-
থাইল্যান্ড ভ্রমণে যে ভুল করলেই বিপদে পড়বেন
সিকিম যেতে প্রথমে বাসে করে ঢাতকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা। সেখান থেকে ইমিগ্রেশন শেষে ভারতের বর্ডার ইমিগ্রেশন শেষ করে যেতে হবে ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে। এর সেখান থেকে বাসে কম খরচেই পৌঁছাতে পারবেন শিলিগুড়ি। সেখানে পৌঁছে সিকিম ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে সিকিম ভ্রমণের অনুমতি নিতে হবে।
শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের দুরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। সড়কপত্রে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এক্ষেত্রে শেয়ার গাড়ি ভাড়া নিয়ে জনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা খরচ হবে। গাড়ি গ্যাংটক সিটি সেন্টারের ২ কিলোমিটার নিচে দেওরিালিতে নামাবে। এবার সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছান।
সিকিম ভ্রমণে যাওয়ার সেরা সময় হলো ফেব্রুয়ারি থেকে মে ও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস। তবে যে কোনো সময়ই সেখানে যাওয়া যায়। যদিও শীতে রাস্তায় বরফে সাদা হয়ে যায়।
ছুটির দিনে ঘুরে আসুন সোনারগাঁও জাদুঘরে
এ সময় চলাফেরায় বেশ কষ্ট হয়। অন্যদিকে বর্ষায় উত্তর সিকিমে ধস নামে বিভিন্ন স্থানে। চাইলে দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে বছরের যে কোনো সময়ই যেতে পারবেন।
চারদিকে পাহাড় সাদা বরফে ঢাকা। যা আপনাকে দেবে এক অনাবিল আনন্দ। সেখানে গেলে নে হবে, এ আপনি কোথায় এলেন! উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি জনপ্রিয় স্থান হলো সিকিম। পূর্ব হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত এই হিল স্টেশন।
আপনি এখান থেকে বিশাল কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন। তিব্বতি সংস্কৃতির এক দারুণ জায়গা সিকিম। বিকেলে কোন ক্যাফেতে বসে কাটাতে পারেন, গরম- গরম মোমো ও থুকপা খেতে-খেতে।
ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসতে ভুলবেন না বিস্ময়কর ৮ স্থানে
সিকিমের দর্শনীয় স্থানসমূহ
তিব্বতি মনাস্ট্রি
তিব্বতি সংস্কৃতি বা তাদের জীবনশৈলী জানার জন্য মনাস্ট্রি যাবেন। এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মনাস্ট্রি আছে। এগুলো হলো- রুমটেক, সুক লা খাং ও পেমাযাংসে।
যেখানে বৌদ্ধ শিল্পকলা দেখতে পাবেন। নামগ্যাল ইনস্টিটিউট অব তিবেতলোজিতে গেলে আপনি এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
সমগো বা চাঙ্কু লেক
অনেক উচ্চতায় (নাথুলা পাসের ভীষণ কাছে) চাঙ্কু লেক। এর মনোরম দৃশ্য, পরিষ্কার নীল পানি, বরফে ঢাকা পাহাড় এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাস। ইয়াকের পিঠে বসে ঘুরতে পারেন। এই লেক গ্যাংটক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে।
ভারত গিয়েই যেভাবে ঘুরে আসবেন ‘প্যারিস’!
নাথুলা পাস
চাঙ্কু লেক যখন যাবেনই, তখন আর একটু গিয়ে নাথুলা পাস নিশ্চয়ই দেখে আসবেন। এর উচ্চতা ১৪ হাজার ১৫০ ফুট। যা প্রাচীন সিল্ক রুটের অংশ ছিল। এর একদম কাছেই হলো ভারত-চীন সীমানা।
বসন্তের ইয়ুম্থাং ফুলের উপত্যকা
স্থানীয়রা এই জায়গাকে ফুলের উপত্যকা বলে। যেখানে গেলে আপনি এখানকার জাতীয় ফুল - রডদেন্দ্রন ফুল ফুটতে দেখবেন। এখানেই রয়েছে শিন্গ্বা রডদেন্দ্রন স্যান্গ্চুরি। যেখানে আপনি ৪০ রকমের ফুলের প্রজাতি পাবেন।
গ্যাংটক
সিকিমের রাজধানী শহর হলোগ্যাংটক মূলত পূর্ব সিকিমের অন্তর্গত। যা বর্তমানে তিব্বতীয় বৌদ্ধ কেন্দ্র ও সিকিমের হিমালায়ান শীর্ষ থেকে ট্র্যাকিং করার জন্য হাইকারদের বেজ ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। এখানের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের মধ্যে তাশি ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনঝঙ্ঘা ও আশপাশের পাহাড় দেখা যায়।
রোমাঞ্চকর ভ্রমণে ঘুরে আসুন ভারতের ৭ পাহাড়ি সড়কে
লাচুং
উত্তর সিকিমের অন্তর্গত তিব্বেতিয়ান বর্ডারের কাছে অবস্থিত লাচুং গ্রাম নদী দিয়ে বিভক্ত। গ্যাংটক থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রামে যেতে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগে। চারপাশের অদ্ভুত সুন্দর পরিবেশ ও ইয়ামথাং ভ্যালী যাবার পথে তিস্তা নদীর স্বচ্ছ নীল পানি ও দুটি অসাধারণ ঝরনা মনকে প্রশান্তি এনে দেয়।
এছাড়া সিকিমের সুইজারল্যান্ড হিসেবে পরিচিত কাটাও মিডিল পয়েন্টথেকে সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়ের সুন্দর ভিউ দেখা যাবে। এখানে আরও আছে ভিম নালা ফল খান্দা ওয়াটার ফলস এবং ট্র্যাকিং করার জন্য স্নো পয়েন্ট।
ভারতের ঝাড়খন্ড ভ্রমণে যা যা দেখবেন
সাঙ্গু লেক
গ্যাংটক থেকে ৪০ কিলো দূরে পূর্ব সিকিমে অবস্থিত সাঙ্গু লেক। ভূ-পৃষ্ট থেকে এটি ৩ হাজার ৭৫৩ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই বরফের হ্রদ সিকিমের অন্যতম একটি পর্যটন স্থান। গ্যাংটক থেকে সাঙ্গু লেকে যাওয়ার রাস্তা অদ্ভুত সুন্দর। স্নো ফলের মধ্যে বরফ দিয়ে খেলা করার প্রকৃত মজা এখানে না আসলে কখনোই বোঝা যাবে না।
ইয়ুকসোম
পশ্চিম সিকিমের একটি ঐতিহ্যবাহী শহর যেখানে কাঞ্জনজঙ্খা ঝরনা, ছোট ছোট লেক ও বৌদ্ধ মন্দির আছে। হাইকিং করার ও সুযোগ আছে এখানে।
একা ভ্রমণের জন্য ভারতের সেরা ৯ স্থান
ইয়ামথাং
এটি ভ্যালি অব ফ্লাওয়ারস নামেও পরিচিত। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে জুনের মধ্য সময়ে বিভিন্ন রঙের ফুলে পুরো ভ্যালি ঢেকে থাকে।
খরচ কত?
সিকিমে খাওয়া দাওয়া, যাতায়াত ও ঘুরাঘুরি বাবদ ৬ দিন ৭ রাত থাকতে জনপ্রতি ১৭-২২ হাজার টাকার মতো লাগবে। তবে সিকিমে ৬/৭ জনের গ্রুপ করে যাতায়াত করলে ও হোটেল রুম শেয়ার করলে খরচ অনেক কম হবে।
কাশ্মীরে পর্যটকে রেকর্ড, কীভাবে যাবেন ও কত খরচ?
সিকিমের নৈস্বর্গীক দৃশ্য দেখতে চাইলে ও ভ্রমণ সহজ করতে যোগাযোগ করতে পারেন নির্ভরযোগ্য ভ্রমণ উদ্যোগী সংস্থার সঙ্গে।
মোবাইল নম্বর- 9830362877 ও 8116415880 এখানে যোগাযোগ করলেই ভ্রমণের সব ব্যবস্থাই তারা করে দেবেন।
ভ্রমণ উদ্যোগী সংস্থার প্যাকেজে ভ্রমণ করতে চাইলে জনপ্রতি খরচ পড়বে ২২-২৫ হাজার টাকা, ৫ দিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নিয়ে যাবে ও টুর শেষ করে আবার আপনাকে সেখানেই পৌঁছে দেবে।
আমেরিকা নয়, ভারত গিয়েই ঘুরে আসুন ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে’
কোথায় থাকবেন?
সিকিমের গ্যাংটক, পেলিং, লাচুং ও এম জি মার্গে থাকার জন্য অসংখ্য হোটেল, মোটেল ও হোম স্টে আছে। হোটেল অনুযায়ী দুই বেডের ভাড়া লাগবে ২-৫ হাজার টাকা। তবে একটু খোঁজখবর করলে ৫০০-১০০০ টাকার মধ্যে দু’জন রাত কাটানোর মতো রুম পাবেন।
কোথায় ও কী খাবেন?
সিকিমের সব খাবারই অর্গ্যানিক ও ফ্রেশ। গ্যাংটকের এম জি মার্কেট, লাল বাজার রোডে সস্তার মধ্যে মজার স্ট্রিট ফুড খেতে পারবেন। এছাড়া সেখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট আছে। যেখানে থুকপা, মম, গুনড্রুক স্যুপ, শা ফালেয়, তিব্বতিয়ান ব্রেড ও লাচ্ছির মতো খাবার খেতে পারেন।
ভারতের রাস্তা শেষ হয়েছে যেখানে!
সতর্কতা
>> সিকিম ভ্রমণে অবশ্যই শীতের ভারি কাপড়, জ্যাকেট, ছাতা, হাত ও পা মোজা, মাফলার, কান টুপি ও বরফে ঢাকা রাস্তায় হাঁটার জন্য অবশ্যই গাম বুট সঙ্গে নিতে হবে।
>> গ্যাংটক থেকে বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে যেতে প্রতিবার অনুমতি নিতে হয়। গাড়ির ড্রাইভারের উপর সে দায়িত্ব থাকে। তবে সঙ্গে অবশ্যই পাসপোর্ট, ভিসা, আইএলপি’র অনেকগুলো কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে যাবেন।
>> গ্যাংটকে জনসম্মুখে ধূমপান, আবর্জনা ও থুথু ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই সতর্ক থাকবেন।
জেএমএস/জেআইএম