ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ভ্রমণ

মুঘল স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন

আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ

উপজেলা প্রতিনিধি | কালীগঞ্জ (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদগাতী গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক নিদর্শন আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজবিশিষ্ট জামে মসজিদ। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটির দেওয়ালে টেরাকোটার অপূর্ব নকশা, কারুকার্যময় মেহরাব আর গম্বুজের প্রতিটি রেখায় ফুটে উঠেছে অতীতের ছোঁয়া। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানিয়ে দিচ্ছে এক গৌরবময় অতীতের কথা।

জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদগাতী গ্রামে দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ১৩ গম্বুজ বিশিষ্ট জামে মসজিদ। এতে কোনো ধরনের শিলালিপি না থাকায় নির্মাণকাল নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের আদলে কারুকার্য আছে। কারুকার্যময় মেহরাবসহ মুঘল আমলের নানা নিদর্শনও আছে। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরোনো মসজিদটি আজও স্মৃতি বহন করছে। মসজিদ কমিটির উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সৌন্দর্যবর্ধনসহ সংস্কার করা হয়েছে।

আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ

স্থানীয়রা জানান, নির্মাণকাল নিয়ে কোনো শিলালিপি না থাকলেও স্থানীয় মুরুব্বিরা মনে করেন, এটি মুঘল আমলের স্থাপনা। বিশেষ কায়দায় তৈরি এ মসজিদে এখনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। পশ্চিমপাশে একটি ছোট দরজা আছে। যেটি জানাজার সময় ব্যবহার করা হয়।

আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ

কয়েকজন মুসল্লি বলেন, ‘এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা নয়, এটি আমাদের ইতিহাস ও গর্ব। জনসংখ্যা ও মুসল্লির সংখ্যা বাড়ায় মসজিদের সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি। আধুনিক অজুখানা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবি করছি।’

আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ

মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. হাবীবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় মুরুব্বিদের ধারণামতে মসজিদটি মুঘল আমলে স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া টেরাকোটা ও গম্বুজ মুঘল ও মুসলিম স্থাপত্যের একটি বৈশিষ্ট্য।’

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মোহাম্মদ হোসেন আরমান বলেন, ‘এ গ্রামের আদি নাম ছিল শাহদেরগাঁও। শাহ অর্থ শাসক আর গাঁও অর্থ গ্রাম। এ ছাড়া এ গ্রামে ছিল শাহদের বসবাস। ধারণা কর হয়, ওই সময় থেকেই এখানে মসজিদটি ছিল। মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর এটি শাহদেরগাঁওয়ের মিয়ারা ১৮ শতকের শেষদিকে পুনরায় স্থাপন করেন।’

আড়াইশ বছরের পুরোনো ১৩ গম্বুজ মসজিদ

তিনি বলেন, ‘প্রথমে মসজিদে ৮টি গম্বুজ ছিল। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভারত থেকে মিস্ত্রি এনে আরও ৫টি গম্বুজ যোগ করা হয়। স্থাপত্য দেখে আমরা মনে করি, মসজিদটির বয়স অন্তত আড়াইশ বছর হবে।’

আব্দুর রহমান আরমান/এসইউ/জিকেএস