ফরিদপুরে ৮৪ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক কোর্ট জামে মসজিদ | ১২ এপ্রিল ২০২২
ফরিদপুরে ৮৪ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক কোর্ট জামে মসজিদ
ফরিদপুরের পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদ। ৮৪ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক একটি মসজিদ। মসজিদটি ১৯৩৬-১৯৩৮ সালে নির্মান কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৯৪০ সালে। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদের নির্মান কাজ করেছিলেন দিল্লির কারিগড়েরা। পুরাতন কোর্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠায় যার অবদান বেশি, তিনি হলেন মৌলভি তমিজউদ্দিন খান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন আইনজিবী।প্রথমে তিনি ফরিদপুর জজ কোর্টে এবং পরবর্তীতে অবিভক্ত বাংলায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এই মসজিদের প্রথম ইমাম ছিলেন আফতাব উদ্দিন। যিনি মাসে ২৫ টাকা বেতন পেতেন।
মসজিদটি ফরিদপুর সদর উপজেলার শেখ জামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন সেটেলমেন্ট ভবনের পাশেই এর অবস্থান। এছাড়া সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ও স্টেডিয়াম মধ্যবর্তী সড়কের পাশেই অবস্থিতর জন্য দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি যে কারও নজর কারে। মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। মাঝের গম্বুজটি আকারে বড়, অন্য দুটি গম্বুজ কিছুটা ছোট। মসজিদের সামনে রয়েছে দুটি মিনার এবং মাঝে আরো দুটি মিনার। মাঝের মিনার দুটি আকারে বড়, এছাড়াও ছোট ছোট আরও বেশকিছু মিনার দেখতে পাওয়া যায়। বড় মিনার দুটি সিরামিক কারুকার্য সমৃদ্ধ। মসজিদের গম্বুজেও রয়েছে সিরামিক বাসনের কারুকার্য। এছাড়া মসজিদের ভেতরে রয়েছে জাপানি টাইলস এর নান্দনিক কারুকার্য। যা মসজিদের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুন। মসজিদের মেহরাবটিও অসাধারনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মসজিদের মূল কক্ষে রয়েছে দুটি পিলার এবং বারান্দায় রয়েছে ৫টি পিলার।
বৃটিশ আমলে নির্মিত এই মসজিদটিতে একসাথে প্রায় ৫ শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের ভেতরেই রয়েছে অযুখানা এবং পাশেই অবস্থিত ছাত্রাবাস।মসজিদ নির্মান কাজ চলাকালীন সময়ে অর্থ সংকট থাকায় তৎকালিন সময়ে বারান্দার মোজাইক করা হলেও ভেতরে মোজাইক করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭৭ সালে তৎকালিন জেলা প্রশাসক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী মসজদটিকে বর্ধিত করার জন্য ৮লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।মসজিদটি শুরুতে ২৩ শতাংশ জমির উপরে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে মসজিদের জন্য আরও ৭ শতাংশ জমি মসজিদের নামে জমি বরাদ্দ করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক।
মসজিদের সামনে বেশ কিছুদিন অন্য স্থাপনা থাকায় মসজিদটি আড়ালেই থাকলেও বর্তমানে মসজিদটিকে রাস্তা থেকেই দেখা যায়। সংস্কার কাজ এবং রং এর কাজ করার পরে মসজিদটিকে আরও সুন্দর লাগছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন