ভিডিও EN
  1. Home/
  2. নারী ও শিশু

৫শ নারীর অভাব দূর করেছেন লাজমী

প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ০৮ মার্চ ২০১৬

মাগুরা সদর উপজেলার পারনান্দুয়ালী গ্রামে নকশী কাঁথা, কারচুপি, হ্যান্ড প্রিন্ট, বুটিক করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন ২০ বছরের কলেজ ছাত্রী মনোয়ারা লাজমী। অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসাবে পেয়েছেন রোকেয়া ও  জয়িতার সম্মাননা। সৃষ্টি করেছেন প্রায় ৫০০ অসহায় দুস্থ নারীর কর্মসংস্থান।

মনোয়ারা লাজমী জাগো নিউজকে জানান, ২০০৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তার নানী বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। সেখানে কারচুপির কাজ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এবং নিজ বাড়িতে ফিরে এসে ব্যাংক থেকে ১২ হাজার টাকা লোন নিয়ে ছোট পরিসরে কাজটি শুরু করেন। প্রথম বছরেই তিনি খরচ বাদ দিয়ে ১৫ হাজার টাকা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি করে নিজেকে সাবলম্বী করে তুলেছেন। বাবার ধারের টাকা পরিশোধ করেন। এছাড়া বড় বোনকে তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।

Magura-Zoyeta

এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে তার কারখানায় প্রায় ১৫০ জন নারী কাজ করেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় আরো ৩৫০জন নারী কাজ করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন ও দিন দিন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। লাজমীর বাড়ির আশ পাশের অনেক বেকার যুবতী ও বিধবা নারীরা দিন দিন একাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ আবার বাড়ি বসে পাচ্ছেন বাড়তি আয়ের সুযোগ। লাজমীকে দেখে এলাকার অনেকেই এখন একাজ করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ঢাকার পাইকার লুবনা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, এখানকার বিভিন্ন প্রকারের নকশী কাঁথা, শাড়ি, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, থ্রি-পিচ, লেহেঙ্গা, ব্যাগ, ওয়ালমেট, টেবিল ক্লথ, কুশান কভার, বেড শীট ইত্যাদির মান খুব ভালো হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা ভিড় জমান লাজমীর বাড়িতে।

তিনি আরো বলেন, ভালো মানের জিনিসপত্র কম দামে পাওয়া যায় লাজমীর কাছে। ফলে বিক্রি করে ভালো লাভও থাকে তাদের।

এ বিষয়ে মাগুরা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জহুরা জাগো নিউজকে জানান, ২০১৫ সালে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে মনোয়ারা লাজমী অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তার একটি মহিলা সমিতি রয়েছে যেখানে প্রতি বছর অনুদান দেয়া হয়। মনোয়ারা লাজমী মাগুরার মডেল ও সফল নারী উদ্দোক্তা বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

এফএ/এমএএস/আরআইপি