সাহিত্য

নবীন বুকে প্রাচীন প্রেম এবং অন্যান্য কবিতা

নবীন বুকে প্রাচীন প্রেম

তোমার শ্বাসের ওঠানামাধৈবত সুরে সুরে কাঁপেবুকের গড়ন অবিকলআমার সৃজন হাত' মাপে।গ্রামীণ ছায়াপথ ধরে—কাহ্নপা হেঁটে যায় ধীরতোমার নবীনতম বুকেটেনে দেই প্রেমের শিবির।

মায়াচোখে জল দেখে ভাবিওই বুঝি দাহ কেরোসিন এক্ষুণি পুড়ে যাবো আমিহয়ে যাবো হাওয়াতে বিলীন।আমার দখলে থাকা ভূমিশুনি আজ ভিনলোকে খায়তোমাকে প্রেমিকা ভেবে আজবুদ্ধও দুঃখী থেকে যায়—

***পায়রা কিংবা একা মেয়ে

পাশের বাসার ছাদে দু'টো পায়রাকার্নিশে বসে ঠোঁট ঘষে প্রেম করছেতারই পাশে বিষণ্ণ এক মেয়ে নিঃসঙ্গতায় একা একা পুড়ছে।চোখ জোড়া তার গাঢ় অন্ধকার মেঘগুলো যায় নিরুদ্দেশে ভেসেছায়া কিংবা মায়ার যতো কথামিলিয়ে যায় শান্ত চোখে এসে।

ছাদের কোণে ছোট একটা গাছহাওয়ায় দুলছে বড্ড বেসামাল তবুও আমার বলতে ইচ্ছে করেমেয়ের মুখেই সত্য মহাকাল।হঠাৎ দেখি পায়রা দু'টো নেই—!কখন কোথায় গেল যে হায় উড়েএকটা সাদা পালক দেখি একাপড়ে আছে মেয়েটির অদূরে—!

***পাওয়া খবর

শুনলাম, আজ তুমি হেঁটেছোহাত ধরে—অন্য কারো!

হেসে এড়িয়ে যেতে চাইলামএমন ভাব নিলামযেন ওসবে আমার কিছুই আসে-যায় না।কিন্তু পেরেছি কী!কখনোধরিনিতোমার হাততবুওকেন যেনিজের হাতকেমুহূর্তেই মনে হলো নিঃস্ব।

এমন অনেক খবরই আসে আজকাল আমি বরাবরই এড়িয়ে যেতে চাইকিন্তু জীবিত নদী তো পারে না জলকে এড়িয়ে যেতে।

এসইউ/জিকেএস