রূপচর্চার জগতে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে অ্যালোভেরা অন্যতম। অ্যালোভেরা ওষুধি গাছ হিসেবেও পরিচিত হলেও ত্বকচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার চলে আসছে। অনেকেই মনে করেন, দিনের চেয়ে রাতে অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। আসলেই কি তাই?
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করলে এর উপকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সারারাত মুখে অ্যালোভেরা জেল রেখে ঘুমালে ত্বক স্বাভাবিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সারারাত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য কী কী পরিবর্তন ঘটে-
১. ত্বকে গভীরভাবে আর্দ্র রাখেঘুমের সময় ত্বক নিজেকে ঠিক করে। এই সময় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পৌঁছে যায়। অ্যালোভেরায় উপস্থিত ৯৫% বা তার বেশি পানি এবং ভিটামিন ত্বকের গভীরে পৌঁছায়ে, ত্বক হাইড্রেটেড রাখে। ফলে সকালে ত্বক হয়ে ওঠে নরম ও মসৃণ।
অ্যালোভেরা জেলে থাকা স্যালিসিলিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি রাতে ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণ হওয়া রোধে সাহায্য করে।
৩. ত্বকের কালো দাগ কমায়অ্যালোভেরা জেলে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের ট্যান ও পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া রাতে নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের পুরোনো দাগ, ব্রণের দাগ এবং চোখের নিচের কালচে ছোপ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
৪. বয়সের ছাপ দূর করেঅ্যালোভেরা জেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বককে সুস্থ রাখে। রাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখার মতো বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমাতে পারে। এটি কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে, যা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
৫. রোদে পোড়া ও লালভাব কমাতে সাহায্য করেসারাদিন রোদে থাকলে ত্বকে লালভাব বা পোড়া তৈরি হয়। রাতে তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বকে ঠান্ডা স্বস্তি দেয় এবং রোদে পোড়ার প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
প্রথমে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে হালকা হাতে মুখে ম্যাসাজ করে নিন। এভাবেই সারারাত রেখে দিন এবং সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হেলথলাইন ও অন্যান্য
আরও পড়ুন চোখের ডার্ক সার্কেল ও ফোলাভাব দূর করতে আই প্যাচ কি সত্যিই কাজ করেরাত জেগে কাজ করলে ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
এসএকেওয়াই/এমএস