বিনোদন

যে কারণে অরিজিৎ সিংয়ের গিটারে লেখা ‘ঝিলিক-ঝোরা-মিঠি’

বলিউডের এই মুহূর্তের শীর্ষ সংগীতশিল্পী কে-এমন প্রশ্নে বেশির ভাগ মানুষই যে নামটি নেন, তিনি অরিজিৎ সিং। প্রেম, বিরহ, পার্টি-সব ধরনের গানে তার জুড়ি মেলা ভার। কনসার্টের টিকিট লাখ টাকায় বিক্রি হলেও দর্শকের ভিড় কমে না একটুও। আর যারা তার শো’তে গিয়েছেন, তারা হয়তো খেয়াল করেছেন-অরিজিতের গিটারে লেখা থাকে ‘ঝিলিক’, ‘ঝোরা’, ‘মিঠি’-এমন আরও কিছু নাম। কারা এরা?

গায়ক কি জীবনের বিশেষ মানুষদের নাম এভাবে গিটারে খোদাই করে রাখেন? প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও পরিষ্কার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি গিটারিস্টের কাছ থেকে। তবে অরিজিতের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ভালোবাসা থেকেই নিজের অ্যাকুস্টিক গিটারগুলোর আলাদা আলাদা নাম দেন তিনি। সেই নামই খোদাই করেন গিটারে। কোন গিটার কেন কোন নামে-তা অবশ্য রহস্যই রয়ে গেছে।

গানের দুনিয়ায় বিশ্বজোড়া জনপ্রিয় হলেও ব্যক্তিজীবনে আজও খুবই সাধারণ অরিজিৎ। জিয়াগঞ্জে জন্ম, বড় হওয়া। সেখানে এখনো তিনি সবার ‘সোমু’, বাড়ির ছেলে। স্কুটার নিয়ে বা হেঁটেই ঘুরে বেড়ান। বাজার করেন, ছেলেদের স্কুলে পৌঁছে দেন, মাঝে মাঝে স্ত্রী কোয়েলকে নিয়ে স্কুটারে বেরিয়ে পড়েন।

স্টেজে উঠলেই লাখো মানুষের ঢল নামে। বলিউডে তার গান ছাড়া অনেক ছবিই অসম্পূর্ণ মনে হয়। বাংলা গানেও প্রতি বছর একাধিক জনপ্রিয় গান দেন তিনি। আয়ও মোটা। কিন্তু জীবনযাপন? একেবারে মাটির মানুষ। নেই পোশাকের চাকচিক্য, নেই বডিগার্ডের বাহাদুরি। ফ্লাইটে ইকোনমি ক্লাস, কখনো ট্রেনের স্লিপারেও দেখা মেলে তাকে।

আরও পড়ুন:মা হওয়ার ৫ মাস পর প্রকাশ্যে কিয়ারা, মুগ্ধ হলেন ভক্তরা ৩৩ বছরে পা দিচ্ছেন রিয়া, জানালেন নতুন পরিকল্পনার কথা 

জন্মদিনের পার্টিও নয় জাঁকজমকপূর্ণ। বরং নিজের প্রতিষ্ঠিত হোটেলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য ব্যবস্থা করেন পংতিভোজনের। গ্ল্যামার আর আলো ঝলমলের বাইরে-সাধারণ মানুষের এই অরিজিৎ সিং-ই তার প্রকৃত পরিচয়।

এমএমএফ