চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিগত সময়ে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে হলে রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সবার আন্তরিক অংশগ্রহণ অপরিহার্য। যে সমাজে বৈষম্য, সহিংসতা ও দমনপীড়ন প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ থাকে, সেই সমাজেই মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মানবাধিকার রক্ষা কেবল সরকারের দায়িত্ব নয়, প্রতিটি সচেতন নাগরিকেরও এটি নৈতিক কর্তব্য। সমাজের দুর্বল ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিশ্চিতে সম্মিলিত সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরিই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি।
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন নাগরিকরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব থাকে। ন্যায়, সমতা, মানবিকতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সচেতন হতে হবে পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে এবং প্রশাসনে।
তিনি জানান, চসিকের কর্মপরিধিতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং মানবিক সেবা উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. জাফর হায়দারের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত মহাসচিব নুর উদ্দীন খান সাগরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. হুমায়ুন কবির। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক ভূঁইয়া।
এমআরএএইচ/একিউএফ