প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল এবং আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে স্বাগত জানিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান ও সংস্কারকে ধারণকারী তিন দলীয় জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’।
যৌথ বিবৃতিতে জোটের মুখপাত্র ও জাতীয় নাগরিক পার্টির এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম এবং আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-এর চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এতদিন যেসব সুযোগসন্ধানী এবং সংস্কারবিরোধী চক্র নির্বাচন হবে না বলে গল্প ছড়িয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে তাদের মুখে চুনকালি হলো।
সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের পক্ষে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূঁইয়ার পাঠানো এক বার্তায় এ কথা বলা হয়।
একই সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে নেতারা বলেন, সব দলের প্রতি সমান আচরণ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েক জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে জোট নেতারা বলেন, এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ১৪শ শহীদ ও হাজারও আহত মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে।
তারা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন এবারের নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোভাব এখনো ততটা জনবান্ধব নয়। অতিদ্রুত পেশাদার ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দেন তিন নেতা।
নেতারা উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, সব শর্ত পূরণ করার পর, এমনকি হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। এ ধরনের আচরণ জনমনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শঙ্কা তৈরি করবে।
তিন দলীয় জোট নেতারা আশাবাদ জানান, সকল নেতিবাচক আচরণ ও প্রশ্নবোধক কর্মকাণ্ড পরিহার করে নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।
এনএস/কেএএ/