সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। এর আগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) চিড়িয়াখানার লায়ন মাঠ এলাকার একটি খাঁচা থেকে সিংহী ডেইজি বের হয়ে যায়। তবে পরে তাকে আবারও খাঁচায় নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের রেশ কেটে গেছে। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই চিড়িয়াখানায় ঘুরছেন দর্শনার্থীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চিড়িয়াখানার বাইরে দাঁড়িয়ে শামসুল আরেফিন নামে এক ব্যক্তি বলছিলেন, ‘একটা সিংহ খাঁচা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। সেটাকে আবার খাঁচায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা হতেই পারে।’ গাবতলি থেকে ভাতিজাকে নিয়ে ঘুরতে আসা শামসুলের মতোই কেউই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন উদ্বিগ্ন নন।
সপ্তাহের ছুটির দিনে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় সরব হয়ে উঠেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জাতের প্রাণী দেখছেন, ছবি-ভিড়িও তুলছেন, কাউকে আবার গাছের ছায়া কিংবা লেকের ধারে বসে থাকতে দেখা গেছে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। প্রহরীদের আরও প্রশিক্ষিত ও সতর্ক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড় কমেনি বরং বেড়েছে।
আরও পড়ুন:চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে সিংহীখাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী নিয়ে মানবিক আহ্বানমেজাজ ভালো নেই ‘ডেইজির’রোদ পোহাচ্ছে ‘ডেইজি’, দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে চিড়িয়াখানার প্রবেশমুখে। মিরপুর সনি সিনেমা হলের বিপরীত পাশের সড়ক হয়ে চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে বাস ও ব্যাটারিচালিত রিকশায় ভিড় চোখে পড়ার মতো।
রিকশাচালক সাইমুজ্জামান বলেন, সকাল থেকেই চিড়িয়াখানাগামী যাত্রীদের চাপ ছিল। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ডজনের বেশি ‘খ্যাপ’ মেরেছি।
গেটের বাইরে ও টিকিট কাউন্টারের সামনেও ভিড় দেখা গেছে। বাইরে আচার, বার্গার, খেলনা, চিপসসহ নানা সামগ্রী নিয়ে বসেছেন হকাররা।
বাঘ, হরিণ, বানর, জিরাফ ও হাতির খাঁচার সামনে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে। শিশুরা বিভিন্ন প্রাণী দেখে ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে।
উত্তরখান থেকে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসেছেন শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকায় গাছপালায় ঢাকা এত প্রশান্তির জায়গা আর নেই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রায়ই নিয়ে আসি। চিড়িয়াখানার সিংহ বের হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে অধিকাংশ দর্শনার্থী নিছক দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখছেন।
পুরান ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা আল আমিন বলেন, চিড়িয়াখানা নিরাপদই। সেদিন দুর্ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
এসএম/এসএনআর/এমএস