ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা অভিযুক্তদের ধরতে র্যাব ও পুলিশ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছে।
র্যাব বলছে, বাহিনীর সবগুলো দল এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর পুলিশ বলছে, একই উদ্দেশ্যে তাদের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গুলির ঘটনা ঘটার পরপরই র্যাব-৩, সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটসহ সবগুলো টিম গুলি করা দুজনকে আটকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো আজকে রাতের মধ্যে একটা ভালো খবর জানাতে পারবো।’
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর গুলি বর্ষণকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। সন্ত্রাসীরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাবসহ সবাই কাজ করছে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে।
শুক্রবার দুপুরে হাদিকে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় তিনি রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কে বা কারা গুলি ছুড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে গুলির শব্দ শোনা যায়। এর কয়েক সেকেন্ড পর মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক দ্রুত পালিয়ে যান। তখন আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তিনটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তিনি এসময় রিকশায় করে যাচ্ছিলেন।
ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফুটেজ সংগ্রহ করলেই আমরা বুঝতে পারবো কতজন এবং কারা এ ঘটনায় অংশ নিয়েছেন।’
টিটি/একিউএফ/এএসএম