আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের মধ্যস্থতা বাতিল, সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা থাই প্রধানমন্ত্রীর

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এ দাবি নাকচ করে অল্প সময়ের ব্যবধানে কম্বোডিয়ায় বোমাবর্ষণ শুরু করে থাইল্যান্ড। এবার কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে থাই সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল।

প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যেই থাই প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা নতুন করে পুরো মাত্রায় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতার দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল বলেছেন, থাইল্যান্ড কোনো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়নি। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে থাই কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন।

থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরাসান্ত কংসিরি জানিয়েছেন, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সীমান্তবর্তী চং আন মা এলাকায় সংঘর্ষে থাই সেনাবাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। এর ফলে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে থাই সেনাদের নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।

তবে সাম্প্রতিক এসব হামলায় কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে কোনো হতাহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, থাই সামরিক বাহিনী দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি বোমা নিক্ষেপ করেছে। থাই বাহিনী এখনো বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি এবং অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চানভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে আমার খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা আজ সন্ধ্যা থেকেই সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।

প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তজুড়ে এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তে ছয় দিনের টানা সংঘর্ষে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সহিংসতার কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া উভয় দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে প্রায় ছয় লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সূত্র : আল-জাজিরা

কে এম