বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সেকে পাঁচ মাসের জন্য হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সে মাত্র এক মাস আগে পদত্যাগ করেছেন। এরপর বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানী লা পাজে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আদালতের শুনানিতে তাকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আর্সের আইনজীবীদের মুক্তি দাবিকে খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছে, অভিযোগগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সরাসরি ক্ষতি সম্পর্কিত হওয়ায় বিচার শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্টকে দেশের বড় কারাগারে রাখা হবে।
তবে বিচারের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এভো মোরালেসের সরকারের অধীনে ২০০৬–২০১৭ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আর্সে। এ সময় তিনি প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে রাজস্ব জোগানোর জন্য তৈরি রাষ্ট্রীয় তহবিল পরিচালনা করতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই তহবিল থেকে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।
নতুন ক্ষমতাসীন ডানপন্থি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো আন্টোনিও অবিয়েদো আর্সেকে প্রধান দায়ী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এই মামলা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে। তখন দুর্নীতির অভিযোগে আদিবাসী তহবিল বন্ধ করা হয়। এরপর সমাজতান্ত্রিক সরকারের শাসনামলে এ মামলার তদন্ত স্থগিত ছিল।
গত মাসে সংরক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজ ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত পুনরায় শুরু হয়। পাজ ও তার সহ-সভাপতি এডম্যান্ড লারা বলিভিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন। লারা সামাজিক মাধ্যমে আর্সের গ্রেফতারের প্রশংসা করে বলেছেন, যারা দেশের অর্থ চুরি করেছে, তারা প্রতিটি সেন্ট ফেরত দেবে।
সূত্র : আল-জাজিরা
কে এম