যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এই হামলায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন। সব নিহত ও আহতই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা আবিয়ের জন্য জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা বাহিনী (ইউএনআইএসএফএ)-তে কর্মরত ছিলেন।
এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা লজিস্টিকস ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে চালানো হামলা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। আজ দক্ষিণ কোরদোফানে শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে চালানো হামলার মতো হামলা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। এর জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
সুদানের সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে।
এক বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী জানায়, এই হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং তাদের পেছনে থাকা শক্তিগুলোর ধ্বংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী জাতিসংঘের ওই স্থাপনার ওপর ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠতে দেখা যায়।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি এই হামলায় গভীরভাবে শোকাহত, এবং তিনি নিহতের সংখ্যা ছয় ও আহতের সংখ্যা আট বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান, যেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের জন্য যে কোনো প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করা হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম