লাইফস্টাইল

দুশ্চিন্তায় প্রস্রাবের বেগ আসে, কেন হয় জানেন?

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে অনেকেরই ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়, সারা শরীরে এক ধরনের অবশ ভাব আসে। আবার কোনো উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতিতে পড়লে দেখা যায়, বারবার বাথরুমে যাওয়ার তাড়া অনুভব করছেন। হঠাৎ ঘন ঘন মূত্রত্যাগের বেগ আসাও এই সময় খুব সাধারণ একটি বিষয়।

অনেকে ভাবেন, এটা হয়তো শুধু মানসিক দুর্বলতা। কিন্তু মানসিক চাপ কীভাবে মূত্রথলির ওপর প্রভাব ফেলে, তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়।

চিকিৎসকদের মতে, এটি একেবারেই স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া। স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি হলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন আসে, যা মূত্রথলি বা ব্লাডারের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে অস্বস্তি বাড়ে এবং বারবার মূত্রত্যাগের অনুভূতি তৈরি হয়।

চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ বাফনার মতে, এই সমস্যার পেছনে রয়েছে হরমোনজনিত প্রভাব। যখন কারো উদ্বেগ বা মানসিক চাপ হঠাৎ বেড়ে যায়, তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণও বাড়তে থাকে। এই হরমোনগুলো মূত্রাশয় বা মূত্রথলিকে বেশি সংবেদনশীল করে তোলে। ফলে মূত্রথলিতে অস্বস্তি তৈরি হয় এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হয়।

সেতুবন্ধনাসন বা ব্রিজ পোজের মতো ব্যায়াম মূত্রথলির পেশি শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কীভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যদি আগে মানসিক চাপ কমানোর দিকে নজর দেওয়া যায়। উদ্বেগ বা ভয় বাড়লে অনেকেরই গলা শুকিয়ে যায় এবং বারবার পানি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পান করলে প্রস্রাবের বেগ আরও বাড়তে পারে। তাই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা জরুরি। নিয়মিত ধ্যান, মেডিটেশন ও ডিপ ব্রিদিং মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্যান্য পেশির মতো মূত্রথলির পেশিও কিছুটা শিথিল হতে পারে। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বিশেষ করে সেতুবন্ধনাসন বা ব্রিজ পোজের মতো ব্যায়াম মূত্রথলির পেশি শক্ত রাখতে সাহায্য করে এবং উদ্বেগজনিত মূত্রত্যাগের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস আরও পড়ুন: ঘুমের অভাবে কমে যেতে পারে শুক্রাণুর কোয়ালিটি ব্রেন ডেথ কী, কেন হয়? 

এসএকেওয়াই/