ক্যাম্পাস

প্রো-ভিসির পদত্যাগ দাবি, প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদল-বামপন্থিদের তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন ছাত্রদল ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় ভবনটির সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

জানা যায়, প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় রয়েছে। ভবনের ভেতরেই সহ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।

প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, নারী অঙ্গন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল সিদ্দিকী ও মাহবুবুল হাসান; বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশরেফুল হক, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক রিশাদ আমীন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক আবিদ শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠক চন্দনা রানি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক শেখ জুনায়েদ, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া সিকদার প্রমুখ।

একই দাবিতে গতকাল রাত সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে গতকাল রোববার এক অনুষ্ঠানে সহ-উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে।

এর আগে, ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় অধ্যাপক মো. শামীম উদ্দিন খান বলেছেন, ‘যে সময় আমি দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছি, আমি জীবিত থাকবো না মৃত থাকবো সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে—এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে।

তার এই মন্তব্যের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো তার পদত্যাগের দাবি করে আসছিলেন।

সোহেল রানা/কেএইচকে/এমএস