বিনোদন

বিজয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনে কনসার্ট মাতাবেন যারা

বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে দুই দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব’। যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা সেসব লাখো বীর সেনাদের স্মরণ করা হচ্ছে এই উৎসবে।

সংগ্রাম, দৃঢ়তা, সংগ্রামের ইতিহাস, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের স্বপ্নের মূল সুরকে ধারণ করে সাজানো হয়েছে এই উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট। ‘বিজয় দিবস কনসার্ট’ নামের এই আয়োজনে অংশ নেবেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীরা। এতে সংগীত পরিবেশন করবেন সায়ান, শিরোনামহীন, লালন, বাংলা ফাইভ, টংয়ের গান, আফটার ম্যাথ, ফারিয়া ইলা লালালা, ফিরোজ জং এবং এফ মাইনর।আরও পড়ুনদেশ-বিদেশ ঘুরতে প্রস্তুত বাঁধনের ‘মাস্টার’মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে ভারতীয় তারকাদের কাণ্ডকীর্তি নিয়ে ট্রল

পাশাপাশি দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে পরিবেশিত হবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কালজয়ী সংগীত।

বিজয় দিবসের এক দিন আগে গেল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শুরু হয় এই উৎসব। প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল অ্যাক্রোব্যাটিক শো ও যাত্রাপালা। শিল্পকলা একাডেমির বড়দের ও শিশুদের অ্যাক্রোব্যাটিক দলের সদস্যরা একে একে মঞ্চে তুলে ধরেন ভারসাম্য, সাহস ও নিয়ন্ত্রণের বিস্ময়কর দৃশ্যপট।

প্রদর্শনীর শুরুতেই সিনিয়র অ্যাক্রোব্যাটিক দলের শিল্পীদের অনবদ্য পরিবেশনা ‘জলি সিমেন্স’ শীর্ষক অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগত দর্শকদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এরপর শিশু অ্যাক্রোব্যাটিক দলের পরিবেশনায় ‘ব্ল্যাংকেট ব্যালেন্স’ আর জুনিয়র দলের ‘ক্যাপ ড্যান্স’ ও ‘ল্যাডার ব্যালেন্স’ ভিন্ন এক চোখ জুড়ানো আবহ তৈরি করে হেমন্তের শেষ দিনের সন্ধ্যায়।বিজয় দিবসের কনসার্টের পোস্টারএরপর পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় কুংফু আর্ট, রিং ড্যান্স, নেক আয়রন বার ও হাইসাইকেল শিরোনামের অ্যাক্রোব্যাটিক। প্রতিটি পরিবেশনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো উপভোগ করেন শিল্পানুরাগী দর্শক-শ্রোতারা। সেই সঙ্গে মুহুর্মুহু করতালির বৃষ্টিতে শিল্পের সুষমা ছড়িয়ে পড়ে অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর বড়দের ব্যারেল ব্যালেন্স ও চেয়ার সিটিং, ছোটদের রোপ স্ক্রুস, রোলার ব্যালেন্স ও রোপ জাম্প এবং শিশুদের মাউথ স্কিল অ্যাক্রোব্যাটিকের নান্দনিক সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়ায় বিজয় উৎসবের প্রথম দিনের আয়োজনে।

সবশেষে ছোটদের ও বড়দের দলের সম্মিলিতভাবে পরিবেশনার হাড়ি ও লাঠি, রোপ রাউন্ড, দিয়াবো ব্যালেন্স, পাইপ ব্যালেন্স, রিং ড্যান্স, মার্শাল আর্ট (নুনথু) ও রোপ স্ক্রুস সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত করে।

অ্যাক্রোব্যাটিক পরিবেশনা শেষে একই মঞ্চে ছিল শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি যাত্রা ইউনিটের পরিবেশনায় জীবনীভিত্তিক যাত্রাপালা ‘জেনারেল ওসমানী’। পালাকার ঋজু লক্ষ্মী অবরোধের এই পালাটির পরিচালনায় ছিলেন শামীম খন্দকার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক লুকায়িত অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ সত্য নতুন করে তুলে ধরা হয়েছে উপস্থিত দর্শকবৃন্দের সামনে।

 

এলআইএ