ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের বাবা-মা আদালতে অপরাধে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের এই স্বীকারোক্তির পর বিচারক উভয়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারকের খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি প্রদানকারীরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোসা. হাসি বেগম (৬০)।
আদালত সূত্রে জানা যায় বক্তব্যে তারা জানান, ঘটনার পর অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন এবং ব্যবহৃত অস্ত্র গোপন করতেও সহায়তা করেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে পল্টন থানায় মামলা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
আরও পড়ুন
হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বানফয়সাল করিম মাসুদের জামিনের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিল নাএই মামলায় এখন পর্যন্ত ফয়সাল করিম মাসুদের মা-বাবা, স্ত্রী ও শ্যালকসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে ফয়সালের সহযোগী কবিরের সাত দিনের, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে মোটরসাইকেল মালিক মো. আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শরিফ ওসমান হাদি অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ গঠন করে এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন মডেল থানার বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে হাদির মাথা ও ডান কানের নিচের অংশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন।
এমডিএএ/এএমএ