দেশজুড়ে

নাগরিক ঐক্যের মান্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আদালতের

বগুড়ার শিবগঞ্জে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, সই জাল এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক শাহজাহান কবির এই আদেশ দেন।

ঋণ জালিয়াতি ও পুনঃতফসিলের অনিয়মের অভিযোগে মিল্লাত হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী জুলাই গণহত্যার ৯টি মামলার আসামি। তিনি এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও তার স্ত্রী ইসমত আরা ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। অথচ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ব্যাংকে জমা দেওয়া বোর্ড রেজুলেশনে তাদের বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজের অফিসে উপস্থিত দেখিয়ে সভায় অংশ নেওয়া ও সই করার তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় করা মামলায় মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খানসহ ব্যাংকটির আরও চার শীর্ষ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বড়গোলা শাখার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ২২ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। সুদ ও মুনাফাসহ বর্তমানে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ চিঠিপত্র অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এরইমধ্যে ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা নিয়েছে। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা হয়েছে বলে খোদ ব্যাংক কর্তৃপক্ষই নথিতে উল্লেখ করেছে।

এ বিষয়ে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহফুজ ইকবাল বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি পেয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে।’

এসআর/এমএস