দেশজুড়ে

হাদি হত্যা: রংপুরে প্রতিবাদী সমাবেশে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে গায়েবানা জানাজা, দোয়া, বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বদলীয় সমাবেশ হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাদ জুমা নগরীর টাউন হল চত্বরে গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে টাউনহল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জুলাই স্মৃতিসৌধ চত্বরে গিয়ে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় নেতাকর্মীরা ‌‘ভারতের আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বক্তারা বলেন, আমরা চব্বিশের আন্দোলনে এক ছিলাম। এখনো এক হয়ে ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করবো।

বক্তব্য শেষে তারা হাতে হাত রেখে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ভারতীয় সব ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবিলার শপথ নেন।

এসময় বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আল আমিন হাসান, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা, এনসিপির রংপুর জেলা আহ্বায়ক আল মামুন, ছাত্রশক্তির রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ হোসেন ইমতি, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজিব, জাতীয় ছাত্রশক্তি রংপুর জেলা আহ্বায়ক মুহিবসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

পরে আবার একটি বিক্ষোভ মিছিল জুলাই স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে শুরু হয়ে কাচারি বাজার জিলা স্কুল-সংলগ্ন ডিসির মোড়ে গিয়ে শেষ করে। সেখানে ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডিসির মোড়কে ‘শহীদ শরিফ ওসমান হাদি চত্বর’ ঘোষণা করেন বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।

এর আগে, জুমার নামাজের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও জুলাই আন্দোলনকারী অংশ নেন।

জিতু কবীর/এসআর/এএসএম