বাজবল ক্রিকেট তত্ত্ব দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। বেশ সফলয়তাও পেয়েছিল তার অধীনে ইংল্যান্ড দল। তবে মাত্র ১১ দিনে অ্যাশেজ হেরে সমালোচনার মুখোমুখি তিনি। ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি ইংলিশরা। ৩-০ তে সিরিজ পরাজিত নিশ্চিত হওয়ার পর শঙ্কায় ম্যাককালামের চাকরি নিয়েও।
তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে – আগামী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে থাকছেন কিনা, সে ব্যাপারে নিজেও নিশ্চিত নন।
অ্যাডিলেড টেস্টে ৮২ রানে পরাজিত হওয়ার পর টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের খরা চলছে ১৮ ম্যাচ ধরে। এরমধ্যে আছে দুটি ড্র। এবারের অ্যাশেজ দিয়ে সমালোচিত ম্যাককালামের বাজবল তত্ত্বও।
২০২২ সালের গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন ম্যাককালাম। শুরুটা আশাব্যঞ্জক হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে ফলাফল খারাপের দিকে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের চেয়ে পরাজয়ের সংখ্যা বেশি। জিতেছে ১২টি টেস্ট, হেরেছে ১৩টিতে।
সবমিলিয়ে ম্যাককালাম ও স্টোকসের অধীনে ৪৪ ম্যাচে ইংল্যান্ডের রেকর্ড ২৫ জয় ও ১৭ হার। সর্বশেষ এই অ্যাশেজ বিপর্যয়ের ফলে ম্যাককালামের সময়কালে চারটি পাঁচ ম্যাচের সিরিজের একটিতেও ইংল্যান্ড জয় পায়নি।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি ম্যাককালামের চুক্তি ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে তাকে ওয়ানডে সংস্করণেরও প্রধান কোচ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাকে বরখাস্ত করলে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ক্ষতি হতে পারে এক মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি।
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা স্বীকার করলেও, ম্যাককালাম এই দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন, ‘আমি জানি না। এটা কি আসলে আমার সিদ্ধান্ত?আমি শুধু কাজটা করে যেতে চাই, এখানে আমরা যেসব বিষয়ে পুরোপুরি ঠিক করতে পারিনি, সেগুলো থেকে শিক্ষা নিতে চাই এবং কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করব। এসব প্রশ্ন অন্যদের জন্য, আমার জন্য নয়।’
আইএন