যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ উপকূলের নিকটে মেক্সিকো নৌবাহিনীর একটি ছোট প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে শিশুসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে একজন মেডিকেল রোগীসহ মোট আটজন আরোহী ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মেক্সিকোর নৌবাহিনী জানিয়েছে, বিমানটিতে থাকা আটজনের মধ্যে চারজন ছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং বাকি চারজন বেসামরিক নাগরিক। বেসামরিকদের মধ্যে একজন শিশু ছিল। দুর্ঘটনায় দুইজন জীবিত উদ্ধার হলেও একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মেক্সিকান মেরিন কর্পস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের অফিসার লুক বেকার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, বিমানে থাকা অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তিনি নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মেক্সিকোর ইউকাতান রাজ্যের মেরিদা শহর থেকে উড্ডয়ন করে। সর্বশেষ স্কোলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি টেক্সাসের গ্যালভেস্টন উপসাগরের নিকটে শনাক্ত করা হয়েছিল।
মেক্সিকোর নৌবাহিনী জানিয়েছে, বিমানটি একটি মানবিক মেডিকেল মিশনে অংশ নিচ্ছিল। এই মিশনটি পরিচালিত হচ্ছিল মিশু অ্যান্ড মাউ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে। এই অলাভজনক সংস্থাটি গুরুতর দগ্ধ শিশুদের জরুরি চিকিৎসার জন্য গ্যালভেস্টনের শ্রাইনার্স চিলড্রেনস হাসপাতাল পর্যন্ত আকাশপথে পরিবহন সহায়তা দিয়ে থাকে।
টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)-এর তদন্তকারী দল পৌঁছেছে।
দুর্ঘটনার পেছনে আবহাওয়া কোনো ভূমিকা রেখেছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার আবহাওয়াবিদ ক্যামেরন ব্যাটিস্টে জানান, গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। তিনি বলেন, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কুয়াশা নেমে আসে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
কেএম